বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান, ফ্রিজ, এসি, সেচ পাম্পসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি এখন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মোবাইলে এসএমএস করে। এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাবুল হাসান। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার শ্যামপুরে, পিতার নাম মো: মওলা বকস। মাহাবুল বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান স্যারের তত্ত্বাবধানে ছয় মাস গবেষণা করে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন তিনি। এর দ্বারা যন্ত্রের কাছে না থেকেও একই সাথে একাধিক যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই যন্ত্রের সাথে একটি সিম কার্ড রয়েছে। ওই সিমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে পরিচালকের ইচ্ছা অনুযায়ী দিক নির্দেশনা লিখে এসএমএস পাঠালে যন্ত্রটি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে। ফ্যান অফ করতে চাইলে “অফ” লিখে এসএমএস করতে হবে। অনুরুপভাবে অন করতে চাইলে “অন” লিখে এসএমএস করলেই ফ্যান ঘুরতে থাকবে। এসএমএস পাঠানোর পর যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরতি এসএমএসে পরিচালককে ফলাফল জানাবে। অর্থাৎ অফ হলে ফিরতি এসএমএসে “ফ্যান অফ” হয়েছে বলে পরিচালককে জানাবে। আবিষ্কারক মাহাবুল হাসান বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমার দাদা শীতের সকালে ফসলের জমিতে পানি সেচ দিতে যেতেন। তখন থেকেই ভাবতাম সেচ মেশিনটা যদি বাড়িতে বসেই চালু-বন্ধ করা যেত। স্নাতক শেষ বর্ষের প্রজেক্টে আমি বিষয়টি নিয়ে কাজ করে সফলতা পেয়েছি। আবিষ্কৃত যন্ত্রটি নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইবি শিক্ষার্থী মাহাবুল। এর আগে একই বিভাগের শিক্ষার্থী শামিম হোসেন রোবট আবিষ্কার করেছিলেন। মাহাবুলের তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা খুবই সম্ভাবনাময়ী। তবে দু:খজনক হলেও সত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণায় এক টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয় না। আবিষ্কারের নেশায় শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্দ্যোগে গবেষণা করছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা আবিষ্কার বিমুখ হয়ে পড়বে। আগামী দিনে আবিষ্কারের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।n.b:collected