Monday, August 29, 2016

সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ

সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৮ (ভূমি মন্ত্রণালয় অুনসারে ১৮৮৭) সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপ ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম পরিচ্ছেদে অনুসারে সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশে পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপের মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মৌজা নকশা (ম্যাপ) প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক ভূমির বাস্তব অবস্থা, আয়তন, শ্রেণী, পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এ জরিপ পি-৭০ সীটে কিস্তোয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সিএস জরিপ ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামু থানা হতে আরম্ভ হয় এবং ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায় শেষ হয়। সে সময়ে সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অধীন থাকায় সিলেট জেলায় সিএস জরিপ হয়নি। তবে জরুরী বিবেচনায় ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের (Sylhet tenancy Act) আওতায় সিলেট জেলার ক্যাডাষ্ট্রাল সার্ভে ১৯৫০ সালে আরম্ভ করা হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর অধীনে ঐ জরিপ ১৯৬৩ সালে শেষ হয়।
সি.এস. জরিপে সময় প্রস্তুতকৃত খতিয়ানে জমিদারগণের নাম খতিয়ানের উপরিভাগে এবং দখলকার রায়তের নাম খতিয়ানের নিচে লেখা হত। সে সময় জমিদারগণ সরকার পক্ষে জমির মালিক ছিলেন এবং রায়তগণ প্রজা হিসেবে শুধুমাত্র ভোগ দখলকার ছিলেন।
প্রথম জরিপ এই জরিপ এবং প্রস্তুতকৃত নকশা ও খতিয়ান খুবই নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে এখনো গ্রহণীয়। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২/৪/১৯৫৬ তারিখে এই আইনের ৩ ধারার আওতাধীন বিজ্ঞপ্তির মূলে সরকার কর্তৃক সকল জমিদারি দখল নেয়ার পর উক্ত এ্যাক্টের ১৭ ধারা মোতাবেক যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তা এস এ খতিয়ান বলে পরিচিত ।
মূলত, জমিদারী ও মধ্যস্বত্ব বিলোপ করে জমিদারগণকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন এবং ভূমি মালিকগণকে/রায়তকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করার লক্ষ্যে সে সময় একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ও রেকর্ড সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা পরবর্তীতে এসএ খতিয়ান বলে পরিচিত পায় । ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে ভূমি মালিকের নাম ও জমির বিবরণাদি সম্বলিত হাতেলেখা রেকর্ড/খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় । সে সময় এই রেকর্ড মোট তিন কপি প্রস্তুত করা হয় যার মধ্যে একটি জেলা রেকর্ড রুমে, এক কপি তহশলি ( ইউনিয়ন ভূমি অফিস) অফিসে এবং অন্যটি সার্কেল পরিদর্শক (উপজেলা রাজস্ব) অফিসে প্রদান করা হয় । জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
পি.এস. জরিপ (Pakistan Survey)
এস.এ. জরিপকেই পি.এস. জরিপ বলে। ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়।
আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)
সি.এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমির অবস্থা, প্রকৃতি, মালিক, দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার লক্ষ্যে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এস.এ. জরিপের সময় সরেজমিনে তদন্ত বা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা হয়নি। জমিদারদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এস.এ জরিপ বা খাতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল যার কারণে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যায়। এই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত নেয় যা আর.এস বা. Revisional Survey জরিপ হিসেবে পরিচিত। এই জরিপে প্রস্তুতকৃত নকশা (ম্যাপ) এবং খতিয়ান নির্ভূল হিসেবে গ্রহণীয়।
সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।
দিয়ারা জরিপ কি?
দিয়ারা জরিপ হলো দরিয়া সম্পর্কিত জরিপ। জেগে উঠা নতুন ভূখন্ড (চর) জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে সিকস্তি পয়স্তির কারণে ভৌগলিক সীমারেখা ও স্বত্বের পরিবর্তন হলে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় নতুন জরিপ করা হয়। এ সমস্ত জরিপে নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এটি অতি পুরাতন জরিপ। ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৮৮ সালে, পক্ষান্তরে দিয়ারা জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৬২ সালে। দিয়ারা জরিপে সাধারন জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরন করে পয়স্তি ভূমির(চর) নক্রা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে ৪টি (রাজশাহী, নরসিংদী, চট্রগ্রাম ও বরিশাল) বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অফিস ও ক্যাম্পের মাধ্যমে সারাদেশের সুনির্দির্ষ্ট কিছু মৌজায় এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়।
Collected from newspapers. 

Sunday, August 14, 2016

এসআই পদে নির্বাচিতদের প্রশিক্ষণের তারিখ ঘোষণা

২০১৫ সালের ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌলিক প্রশিক্ষণের তারিখ ঘোষণা করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স।১ বছরব্যাপি এই প্রশিক্ষণ আগামী ২৭ আগস্ট রাজশাহীর সারদার পুলিশ একাডেমিতে শুরু হবে। মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পর্ণ করা প্রার্থীদের শিক্ষানবিস উপ পরিদর্শক (এসআই) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
রোববার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তারিখ ঘোষণা করা হয়।

প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ১ হাজার ৩৮৯ জন এবং মহিলা প্রার্থী ৪১ জন।অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের বহিরাগত ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভিআর অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণে প্রেরণযোগ্য বিবেচনায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদায় মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ৫৪০ জন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ১৪৫, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১৯২, রাজশাহী রেঞ্জের ১০৯, খুলনা রেঞ্জের ১৬৬, বরিশাল রেঞ্জে ১১৩, সিলেট রেঞ্জের ৪৭, রংপুর রেঞ্জের ১২১ জনের নাম রয়েছে।
উত্তীর্ণদের ২৬ আগস্টের মধ্যে সারদায় উপস্থিত থাকতে হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ জুন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ওই সময় সারা দেশে ১ হাজার ৫১৭ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।(collected)

Saturday, August 13, 2016

> বাংলাদেশের শীর্ষ সম্পদশালী

২০১৩-১৪ সালের করবর্ষের সম্পদ বিবরণীর তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষ সম্পদশালী ৫০ ব্যক্তির তালিকায় দেখা গেছে, ১০০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন ২৭ জন। আর ৫০ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকার নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন এমন সম্পদশালীর সংখ্যা ৪৬ জন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের তালিকায় এমন তথ্য জানা গেছে। মোট সম্পদ থেকে মোট দায় বাদ দিলে যা থাকে তাই নিট সম্পদ।
এনবিআরের তালিকায় শীর্ষ দশ সম্পদশালী
শওকত আলী চৌধুরী
প্রকাশিত নিট সম্পদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। তার প্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ২৭৫ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
শওকত আলী চৌধুরী শিপ রিসাইক্লিং, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, রিয়েল এস্টেট, পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস, কনটেইনার টার্মিনাল এন্ড হ্যান্ডলিং, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, শেয়ার ব্রকারস এন্ড টি প্লান্টেসন এন্ড প্রোডাকশন ব্যবসার সাথে জড়িত। শওকত আলী চৌধুরী সার্ক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রি, ভাটিয়ারি গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে এর আজীবন সদস্য। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চ্যম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রি এর ডিরেক্টর এবং চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড এর চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাব লিমিটেড ও বাংলাদেশ শিপ ব্রেকারস সমিতির সদস্য পরিচালক। এছাড়াও তিনি অন্যান্য অনেক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

সাইফুল ইসলাম
দ্বিতীয় সম্পদশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন নাভানা গ্রুপের সাইফুল ইসলাম। তার নিট সম্পদের পরিমাণ ২৭০ কোটি টাকা। সাইফুল ইসলাম নাভানা গ্রুপের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কামালের ছেলে। তিনি ব্যবসা বিষয়ে ভারতের নিউ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে থাকতেই তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপে যোগদান করেন। ২০০০ সালে নাভানা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। সেসময় থেকেই তিনি নাভানা রিয়ের এস্টেট লিমিটেড, নাভানা কন্সট্রাকশন লিমিটেড, নাভানা সিএনজি লিমিটেড পরিচালনায়ও ভূমিকা রেখে আসছেন।
সা’দাত সোবহান 
২০৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সা’দাদ সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চার সন্তানের সবার বড় সা’দাত সোবহান। শৈশব ও কৈশরের বেশিরভাগ সময় ইউরোপে কাটানো সা’দাত সোবহান ২০০০ সালে লন্ডনের হুরন বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন শেষ করে তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপেই যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে দারিদ্র্য দূরীকরণে বেশ কিছু সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন। এপর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ছিন্নমূলকে তিনি পুণর্বাসন করেছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন
২০০ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হোসাফ গ্রুপের মোয়াজ্জেম হোসেন। মোয়াজ্জেম হোসেন শুধু হোসাফ গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নন, সেই সাথে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডেরও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টর। তিনি হোসাফ মিটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সিটিলিংক অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মোযাজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের প্রথম উদ্যোক্তদের একজন, যিনি তার ব্যবসা দেশ এবং বিদেশে সমানতালে ছড়িয়েছেন। তিনি বিজিএমইয়ের সাবেক সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ এনার্জি কোম্পানিজ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সালমান এফ রহমান
১৬৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বেক্সিমকোর সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একটি জুট মিল দিয়ে ১৯৬৬ সালে সালমান এফ রহমান তার ভাই সোহেল এফ রহমানের সাথে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭১ সালে সরকার ওই মিলটিকে সরকারিকরণ করলে তারা দুই ভাই বাধ্য হন অন্যদিকে ব্যবসা ঘুরিয়ে নিতে। ১৯৭২ সালে এই দুই ভাই বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে তারা সি-ফুড এবং হাড়চূর্ণ রপ্তানি করতেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস-এ। সেই সাথে তারা বিদেশি ওষুধ আমদানি করতেন। ১৯৭৬ সালে এই দুই ভাই বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করেন এমনভাবে, একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় বেক্সিমকো গ্রুপ।
আফরোজা বেগম
ষষ্ঠ স্থানে আছেন আফরোজা বেগম। যার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি টাকা।
সাফওয়ান সোবহান
১৫৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সাফওয়ান সোবহান। সাফওয়ান সোবহান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চার সন্তানের একজন। বর্তমানে তিনি এই গ্রুপের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে কর্মরত আছেন।
এছাড়া তিনি অনেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন।
আকিজ পরিবার
আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আকিজ উদ্দিন। শীর্ষ সম্পদশালীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছেন আকিজ পরিবারের। এ পরিবারের পাঁচ সদস্য শেখ বশিরউদ্দিন, শেখ জামিল উদ্দিন, শেখ জসিম উদ্দিন, শেখ শামীম উদ্দিন ও শেখ নাসির উদ্দিন প্রত্যেকেই ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক। তাঁরা সবাই রয়েছেন অষ্টম স্থানে।

Thursday, August 11, 2016

জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানে লাউ

লাউ এমন একটি সবজি যা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু কিশোর-তরুণরা এই সবজিটি তেমন পছন্দ করেনা। লাউ এর উপকারিতাকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই। কারণ লাউয়ে প্রচুর পানি থাকার পাশাপাশি এতে ফাইবার, ভিটামিন ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান থাকে। সাধারণ লাউ এর অসাধারণ কিছু উপকারিতার কথাই জানবো আজ।
* ক্যালরি কম
কম ক্যালরির খাবার হিসেবে লাউ আদর্শ খাবার। লাউয়ে ৯৬% পানি থাকে। উচ্চমাত্রার ডায়াটারি ফাইবার থাকে লাউয়ে। ১০০ গ্রাম লাউয়ে ১৫ ক্যালরি ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এতে ভিটামিন সি ও সামান্য বি ভিটামিন, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম ও থাকে।
* পরিপাকে সাহায্য করে
লাউয়ে ভালো পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে। তাই লাউ পরিপাকে এবং পরিপাক সম্পর্কিত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাদের পাইলসের সমস্যা আছে তাদের জন্য লাউ খাওয়া উপকারী।
* শিতলিকারক
লাউয়ে ভালো পরিমাণে পানি থাকে বলে শরীর ঠান্ডা ও শান্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই গরমের সময় লাউ খাওয়া উপকারী বিশেষ করে যারা প্রখর সূর্যতাপে কাজ করেন তাদের হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে লাউ। লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।
* ইউরিনারি সমস্যা সমাধানে
লাউ মূত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে লাউ। ১ গ্লাস লাউয়ের জুসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিসিয়ে পান করুন। ক্ষারীয় এই মিশ্রণটি এসিডিক মিশ্রণকে তরল হতে সাহায্য করে এবং মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া কমতে সাহায্য করে।
t

*ওজন কমতেসাহায্য করে
লাউয়ে ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে বলে লাউ ওজন কমতে সাহায্য করে। রক্তের কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে লাউ।
* অকালে চুল পাকা রোধ করে
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে, সকালে নিয়মিত তাজা লাউয়ের জুস পান করলে অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
* ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। এটি মুখের ত্বকের তেলের নিঃসরণের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে লাউ।
* ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
তিলের তেলের সাথে লাউয়ের জুসের মিশ্রণ ইনসমনিয়ার সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। লাউ পাতা রান্না করে খেলে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে এবং ঘুমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
* পুনরুজ্জীবিত করে
ডায়রিয়া, উচ্চমাত্রার জ্বর এবং অন্য কোন স্বাস্থ্যসমস্যার কারণে যদি শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায় তাহলে ১ গ্লাস লাউয়ের জুস পান করুন। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পানির প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের অত্যধিক তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানেও উপকারী ভূমিকা রাখে লাউ। অসাধারণ উপকারিতা সম্বলিত এই সবজিটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা সকালে খালি পেটে লাউয়ের জুস পান করার পরামর্শ দেন। আবার অনেকের মতে লাউ দিনের যেকোন সময় যেকোন উপায়ে রান্না করে খাওয়া উপকারী।

Wednesday, August 10, 2016

> ৩৪তম বিসিএস: প্রাথমিকে ৮৯৮ জনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

চৌত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
 
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা করলে এবং যাচাই বাচাইয়ের পর তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে।
 
৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন।
 
চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে। বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।
 
৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এর আগে কয়েকশ প্রার্থীকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত ৩৪তম বিসিএস থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
 
বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান তাদের আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়েছিল। এসব আবেদনকারীর মধ্য থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হল।

> বৃহস্পতিবার বিকেলে মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার


 লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১১ ‍আগস্ট) ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধের অস্ত্রোপচার করা হবে।। কাঁধের অস্ত্রোপচারে পারদর্শী অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় (স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা) অস্ত্রোপচার করবেন। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।
 ওয়ালেস ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ লন্ডনের সেন্ট জন অ্যান্ড সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের কাঁধেও অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
 বিসিবি সূত্রে জানা গেছে অস্ত্রোপচারের সময় মোস্তাফিজের পাশে থাকার জন্য বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন। গত শনিবার (৬ আগস্ট) বিসিবি কার্যালয়ে দেবাশীষ চৌধুরী মোস্তাফিজের অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচারটি সাধারণ হলেও এর পুনর্বাসন জটিল।

তিনি বলেন, ‘অপারেশনের স্থায়িত্ব খুবই কম। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে আশা করি অপারেশন হয়ে যাবে। কিন্তু এই অপারেশনের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল বা কমপ্লিকেটেড দিক হচ্ছে পুনর্বাসনের সময়টা। অনেক সময় লাগে মাঠে ফিরতে। আমরা আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মোস্তাফিজ মাঠে ফিরতে পারবে।’
দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানান, ‘অস্ত্রোপচারের পর ওই দিন রাতেই হয়তো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে মোস্তাফিজকে। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হতে পারে আরও ২-৩ দিন।’
কাঁধের চোট সারাতে গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ম্যানচেস্টারের বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক লেনার্ড ফ্রাঙ্কের শরণাপন্ন হয়েছিলেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন তিনি ২২ আগস্টের আগে মোস্তাফিজের কাঁধের চিকিৎসা চালাতে পারবেন না। ফলে অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের শরনাপন্ন হন মোস্তাফিজ।
দ্রুত মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতে ওয়ালেসকেই বেছে নেয় বিসিবি। এর আগে গত শুক্রবার (২৯ জুলাই)  মোস্তাফিজের কাঁধের চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন শল্য চিকিৎসক টনি কোচার।
 সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এবং রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে খেলার জন্য মোস্তাফিজ ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আইপিএল মাতানো এই বোলার প্রথম ম্যাচে নেমেই মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। পরের দিন ওভালে সারের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে কাঁধের পুরণো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় পরের ম্যাচগুলোতে মোস্তাফিজ আর মাঠে নামতে পারেননি।