Thursday, July 28, 2016

অ্যাপল, স্যামসাংকে পেছনে ফেলে শীর্ষে অপ্পো


বর্তমানে চীনের বাজারে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের যৌথ হিসাবে যতটা বাজার দখল হয়েছে, অপ্পোর একার দখলে তার চেয়েও বেশি। গত জুন মাসের হিসাবে এ তথ্য দেখিয়েছে কাউন্টারপয়েন্ট।

২০১৪ সালে চীনের বাজারে অ্যাপল ও শিয়াওমির যে পরিমাণ দখল ছিল, তার চেয়ে ৯ ও ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাজার দখল কমেছে।

সারাবিশ্বে চীনের বাজারকেই স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার ধরা হয়। সেই বাজারেই অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়েকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে অপ্পো।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, চীনের স্মার্টফোন বাজারে বিক্রির হিসেবে ২৩ শতাংশ দখল করেছে অপ্পো। এক্ষেত্রে অপ্পো আর ৯ ও এফ১ প্লাস স্মার্টফোনই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আগস্ট ৩ তারিখে অপ্পো এফ১ এস ডিভাইসটি উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। এটি তাদের সেলফি ফোন।

এরপর ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ দখল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে হুয়াওয়ে আর ১২ শতাংশ দখল নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভিভো। গত শনিবার কাউন্টারপয়েন্ট ওই তথ্য প্রকাশ করে।

২০১৫ সালের জুন মাসের তুলনায় এ বছরের জুন মাসে অপোর বাজার দখল বেড়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

Thursday, July 7, 2016

> অতি পরিচিত ঘোড়ার অবাক করা কিছু তথ্য

 হাজার হাজার বছর যাবত ঘোড়া মানুষের সঙ্গী হয়ে আছে। ঘোড়াকে সম্ভ্রান্ত জীব বলা হয়ে থাকে। ৪০০০-২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকেই ঘোড়া মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। যেকোন স্থানে পৌঁছে দিতে ঘোড়া মানুষের সহযোগিতা করে আসছে এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও। এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঘোড়ার কদর কমে যায়নি। তাই চলুন আজ ঘোড়ার কিছু বিস্ময়কর তথ্য জেনে নিই।
-   স্থলজ যেকোন স্তন্যপায়ীর চেয়ে ঘোড়ার চোখ বড় হয়।
-   জন্মের একঘন্টা পরই ঘোড়া দৌড়াতে পারে।
-   এক সময় মনে করা হত ঘোড়া বর্ণান্ধ। কিন্তু আসলে এটি ঠিক নয়। তারা  রক্তবর্ণ বা বেগুনী বর্ণের চেয়ে হলুদ বা সবুজ রঙ ভালো দেখে।
-   ঘোড়ার দাঁত দেখেই স্ত্রী ও পুরুষ ঘোড়া শনাক্ত করা যায়। পুরুষ ঘোড়ার ৪০টি দাঁত থাকে এবং স্ত্রী ঘোড়ার থাকে ৩৬টি।
-   মানুষের চুল ও নখ যে প্রকারের প্রোটিন দিয়ে গঠিত ঘোড়ার খুরও একই ধরণের প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
-   যুক্তরাজ্যের লর্ড জর্জ বেন্টিঙ্ক নামক এক ব্যাক্তি তার ৬টি ঘোড়াকে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম “দ্যা হর্স ট্রেইলার” বা “হর্স বক্স” উদ্ভাবন করেন।
-   ঘোড়া দাঁড়িয়ে ও শুয়ে উভয়ভাবেই ঘুমাতে পারে।
-   ঘোড়ার চোখগুলো মাথার দুইপাশে অবস্থিত বলে ঘোড়া ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত দেখতে পায়।
-   সত্যিকারের বুনো ঘোড়ার প্রজাতি প্রিজওয়ালস্কির অস্তিত্ব এখনো আছে।  মঙ্গোলিয়াতে পাওয়া যায় এদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্য ঘোড়া পাওয়া যায় যেমন- মাসটাং পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়।
-   ঘোড়া তার মেজাজ প্রকাশের জন্য নাক, কান ও চোখ ব্যবহার করে। মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে।
-   অনেকগুলো ঘোড়া একসাথে কখনোই শুয়ে থাকেনা। অন্তত একজন সজাগ থাকবে তার সঙ্গীদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য।
-   একটি পূর্ণবয়স্ক ঘোড়ার মস্তিস্কের ওজন ২২ আউন্স হয়।
-   বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ঘোড়ার সম্মানজনক অবস্থান আছে। যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কীর্তিকলাপের সাথে সম্পৃক্ত আছে ঘোড়া বিশেষ করে চীন দেশে।
-   ঘোড়া বমি করতে পারেনা। কারণ তাদের খাদ্যনালীর স্ফিংক্টার অন্য যেকোন প্রাণীর চেয়ে অধিক শক্তিশালী থাকে।
-   গৃহপালিত ঘোড়ার একটি প্রজাতিই আছে। কিন্তু ৪০০ বিভিন্ন প্রজাতির ঘোড়া আছে যারা গাড়ীটানা থেকে শুরু করে রেসিং পর্যন্ত সব কাজে লাগে।
-   ঘোড়া রাতে মানুষের চেয়ে ভালো দেখে। তবে আলো থেকে অন্ধকারে বা অন্ধকার থেকে আলোতে অ্যাডজাস্ট করতে মানুষের চেয়ে ঘোড়ার বেশি সময় লাগে।
-   ঘোড়া মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করে এবং টক বা তিক্তস্বাদ প্রত্যাখ্যান করে।
-   বন্য ঘোড়ারা সাধারণত ৩-২০টির দল করে থাকে। এই দলের নেতৃত্ব দেয় একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ঘোড়া যাকে স্ট্যালিয়ন বলে। পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ঘোড়াকে মেয়ার বলে। তরুণ পুরুষ ঘোড়াকে কোল্ট বলে এবং তরুণ স্ত্রী ঘোড়াকে  ফিলি বলে।
-   ঘোড়া একদিনে প্রায় ১০ গ্যালন লালা উৎপাদন করে।
-   ঘোড়ার খুরের নীচের দিকে একটি ত্রিকোণাকার অংশ থাকে যাকে ফ্রগ বলে। এটি ঘাতশোষক হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে।
ঘোড়ার উচ্চতা মাপার একককে হ্যান্ডস বলে। এক হ্যান্ডস সমান ৪ ইঞ্চি।সবচেয়ে দীর্ঘ ঘোড়ার দৈর্ঘ্য ছিল ২১.২ হ্যান্ডস (৭ফুট, ২ইঞ্চি)।
-   ঘোড়ার হৃদপিণ্ডের ওজন ৯/১০ পাউন্ড।   
-   বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন ঘোড়ার প্রথম পূর্বপুরুষ ৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে বেঁচে ছিলো। এই প্রাগৈতিহাসিক ঘোড়াকে ইয়োহিপ্পাস বলে। এদের সামনের পায়ে ৪টি করে প্যাড যুক্ত আঙ্গুল ছিল এবং পেছনের পায়ে তিনটি প্যাড যুক্ত আঙ্গুল ছিলো।  
-   ঘোড়া দৈনিক ২৫ গ্যালন পানি পান করে। গরমের সময় আরো বেশি পান করে।  
-   ঘোড়ার খুর পুনরায় সম্পূর্ণ রূপে জন্মাতে ৯-১২ মাস সময় লাগে।
-   ঘোড়ার প্রতিটা কানে ১৬টি মাংসপেশি থাকে, যার ফলে তারা কানকে ১৮০  ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরাতে পারে।
-   যে ঘোড়ার লেজে লাল রিবন থাকে সেই ঘোড়া লাথি মারে।
-   ঘোড়া সামাজিক প্রাণী তাই একা থাকলে নিঃসঙ্গ অনুভব করে এবং সঙ্গীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্থ হয়।
-   ২০১০ সালের এক গবেষণায় জানা যায় যে, ঘোড়া বুদ্ধিমান প্রাণী। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে। ঘোড়ার সাথে সদয় আচরণ করলে ঘোড়া তা আজীবন মনে রাখে এবং তাকে বন্ধু ভাবে। তারা স্থান চিহ্নিত করতে পারে।
-   অ্যারাবিয়ান ঘোড়াকেই সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়া বলা হয়।

> বিশ্বসেরা ২০টি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জেনে নিন


বিশ্বসেরা ২০টি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জেনে নিন

স্মার্টফোনের জগতটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এখানে আজকে যে স্মার্টফোনটিকে সেনা বলে মনে হবে, তা পরদিনই সে অবস্থানে নাও থাকতে পারে। তাই আগে যে স্মার্টফোনগুলোকে সেরা হিসেবে গণ্য করা হত, তা এবার নাও হতে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সেরা কয়েকটি স্মার্টফোন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. আইফোন ৬এস
দারুণ নকশা, সহজ ব্যবহার ও টেকসই উপাদানের সমন্বয়ের কারণে জনপ্রিয় হয়েছে আইফোন ৬ এস। নতুন আইফোন সম্পর্কে অ্যাপলের টিম কুক বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন।’ এই স্মার্টফোনে রয়েছে অ্যাপলের আইওএস ৯ অপারেটিং সিস্টেমে। ফোরকে মানের ভিডিও ধারণ করার জন্য এই ফোনের পেছনে উন্নত আই-সাইট ক্যামেরা যুক্ত করেছে অ্যাপল। ফোরকে ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকে ৩৮৪০ বাই ২১৬০ যাতে পিক্সেল ঘনত্ব হয় ইঞ্চি প্রতি ৮০৬। গত বছরে বাজারে আসা আইফোন ৬ এ আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেও নতুন আইফোনের পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও সামনে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত হয়েছে। লাইভ ফটোজ নামের নতুন একটি ফিচারও যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইওএস ৯ এ ফিচার হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল সহকারী সিরির উন্নত সংস্করণ। এমনকি এটি ব্যাটারির চার্জ বাড়তি এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচাতে পারে। ১৬ জিবি, ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি এই তিনটি সংস্করণে বাজারে এসেছে নতুন আইফোন। বাজারে এর মূল্য কমপক্ষে ৬৪৯ ডলার।
২. আইফোন ৬এক্স প্লাস
আপনি যদি বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ও বড় স্মার্টফোন চান তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। স্যামসাংয়ের গালাক্সি নোট এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও আইফোনের ডিজাইন, হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য অ্যাপের কারণে এ ফোনটিকেই সেরা মানছেন অনেকে। এ বছরের আইফোন ৬এস প্লাস আগের তুলনায় গতিশীল। এতে রয়েছে ভালো ক্যামেরা ও উন্নত ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যাপলের সর্বশেষ প্রযুক্তির প্রেসার-সেনসিং টলজি। মূল্য কমপক্ষে ৭৪৯ ডলার।
৩. আইফোন এসই
চার ইঞ্চি স্ক্রিনের আইফোন এসই এখন অনেকেরই সেরা স্মার্টফোনের তালিকায় স্থান নিয়েছে। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অ্যাপলের যাবতীয় অ্যাপ, ইকোসিস্টেম, সাপোর্ট ও সেরা স্মার্টফোনের পারফরমেন্স। এর মূল্য কম হওয়ায় অনেকেই একে দামের তুলনায় সেরা ফোন বলে মনে করছেন। এর ব্যাটারি লাইফ যেমন ভালো তেমন অন্যান্য ফিচারও মন্দ নয়। মূল্য কমপক্ষে ৩৯৯ ডলার।
৪. নেক্সাস ৬পি
গুগল নেক্সাস ৬পি হলো নেক্সাস ৫এক্স-এর সামান্য বড় ভার্সন। গুগলের পক্ষ থেকে এটি তৈরি করেছে হুয়াউয়েই। এটি নেক্সাস ৫এক্স-এর মতোই গুগলের নানা সুযোগ সুবিধা পাবে। যে কারণে স্মার্টফোনটিতে সবার আগে আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যারের নিখুঁত পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে। মূল্য কমপক্ষে ৪৯৯ ডলার।
৫. গুগল নেক্সাস ৫এক্স
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে মানসম্মত ও কিছুটা কমদামের ভার্সন খুঁজলে গুগল নেক্সাস ৫এক্স এর তুলনা নেই। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫.২ ইঞ্চি স্ক্রিন ও ১২.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। গুগল দাবি করছে বিশেষ প্রযুক্তির কারণে এ স্মার্টফোনের ছবি অন্যদের থেকে অনেক উন্নত। এতে রয়েছে সম্পূর্ণ অক্ষত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, যা এর পারফর্মেন্স উন্নত করবে। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের যে কোনো আপডেট সবার আগে এ স্মার্টফোন পাবে। মূল্য প্রায় ৩৪৯ ডলার।
৬. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এজ
স্যামসাংয়ের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন হিসেবে গ্যালাক্সি এস৭ এজকে পরিচিত করিয়েছে গুগল। এটি আগের ভার্সনের তুলনায় বহুদিক দিয়েই উন্নত। স্যামসাং জানিয়েছে সম্পূর্ণ নতুনভাবে স্মার্টফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি স্ক্রিন। মূল্য কমপক্ষে
৬৬৯ ডলার।
৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের এ মডেলটিতে রয়েছে সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরা। এ স্মার্টফোনের ক্যামেরা এমনকি আইফোন ৬এস প্লাসের চেয়েও উন্নত। এছাড়া এটি অত্যন্ত শক্তিশালী কিছু ফিচার রয়েছে। স্মার্টফোনটি পানিরোধক। এতে রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। এছাড়া আপনি স্যামসাং পে  ব্যবহার করতে পারবেন এর মাধ্যমে। মূল্য কমপক্ষে ৫৬৮ ডলার।
৮. ওয়ানপ্লাস ৩
কমদামে বড় মনিটরের স্মার্টফোন চাইলে ওয়ানপ্লাস ৩ সবচেয়ে ভালো। নতুন মডেলটিতে রয়েছে মেটাল বডি, প্রায় অক্ষত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর ও ৬ জিবি র‌্যাম। এতে রয়েছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ। মূল্য কমপক্ষে ৪০০ ডলার।
৯. এইচটিসি ১০
এইচটিসি ১০ অত্যন্ত সুন্দর মডেলের দারুণ একটি স্মার্টফোন। এর অপারেটিং সিস্টেমটিও প্রায় অক্ষত অবস্থায় এ স্মার্টফোনে দেওয়া হয়েছে। এ স্মার্টফোনটি আনলক অবস্থায় কেনা যায়। মূল্য কমপক্ষে ৭০০ ডলার।
১০. এলজি জি৫
এলজির সর্বাধুনিক পণ্য জি৫ বাজারে এসেছে। এর বডি সম্পূর্ণ ধাতব। অনেকেই একে স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সেরা বলছেন। দারুণ ছবি তোলা যায় এতে। এছাড়া এ ফোনটির বটমটি রিমোভেবল হওয়ায় সহজেই ব্যাটারি পরিবর্তন করা যায়। মূল্য কমপক্ষে ৬৫০ ডলার।
১১. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৫
স্মার্টফোনে বিনোদনের পাশাপাশি জরুরি কাজ করতে চাইলে সেরা ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৫। বড় স্ক্রিনের এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অসাধারণ সূক্ষ্ম ডিসপ্লে ও দারুণ ক্যামেরা। এছাড়া এতে রয়েছে স্টাইলাস সংযোজনের অপশন। এ বছরের গ্যালাক্সি নোটের সংস্করণটি আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় উন্নত। যেমন এতে গ্যালাক্সি এস৬-এর সঙ্গে মিল রেখে নানা সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এমনকি ডিসপ্লে বন্ধ রেখেও আপনি তার ওপর লিখতে পারবেন। স্মার্টফোনটির মূল্য কমপক্ষে ৫২০ ডলার।
১২. মটো এক্স পিওর
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মানসম্মত ভালো ফোনের একটি হলো মটোরোলা মটো এক্স পিউর। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে সুপার শার্প কিউএইচডি স্ক্রিন ও ২১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পাশাপাশি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের সম্পূর্ণ অক্ষত ভার্সন। এতে কোনো বাড়তি অ্যাপ নেই, যা এর পারফর্মেন্সকে বাড়াতে সহায়ক। মূল্য কমপক্ষে ২৯৯.৯৯ ডলার।
১৩. আইফোন সিক্স
কিছুটা পুরনো মডেলের আইফোন সিক্স এখনও বাজারের অন্যতম সেরা ফোন। অ্যাপলের ফ্যানরা এখনো অনেকে নতুন মডেলের ফোন বাদ দিয়ে এ ফোন কিনছেন দামের কারণে। মূল্য কমপক্ষে ৫৪৯ ডলার।
১৪. আইফোন সিক্স প্লাস
আইফোন সিক্স প্লাস এখনও অনেকের বিচারে বাজারে দামের তুলনায় সেরা ফোন। অ্যাপলের বড় পর্দার ফোন হলেও অন্য মডেলের তুলনায় ১০০ ডলার কম মূল্য এ মডেলটির। আর এটি অনেককে আকর্ষণ করছে। মূল্য কমপক্ষে ৬৪৯ ডলার।
১৫. মটো জি৩
মটোরোলার নতুন মডেলের মটো জি একটি অসাধারণ ও কমদামের স্মার্টফোন। কমদামের এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে মানসম্মত ক্যামেরা, পানিরোধী বডি ও বড় পর্দা। এটি অন্য স্মার্টফোনের মতো শক্তিশালী না হলেও দামের দিক দিয়ে অসাধারণ। মূল্য কমপক্ষে ১৬০ ডলার।
১৬. এইচটিসি ওয়ান এ৯
অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো কয়েকটি স্মার্টফোনের কথা বলতে গেলে এ ফোনটির কথা আসবেই। এইচটিসির পুরনো ভার্সনের তুলনায় এটি সামান্য উন্নত। এতে রয়েছে পুরনো আকর্ষণীয় অ্যালুমিনিয়াম ডিজাইন, উন্নত ক্যামেরা ও দ্রুতগতির প্রসেসর। আপনি যদি এইচটিসির অন্য স্মার্টফোন পছন্দ করেন তাহলে সম্ভবত এটিও পছন্দ করবেন। আইফোনের ডিজাইন যাদের পছন্দ কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে চান তাদের জন্যও এইচটিসি এ৯ একটি আদর্শ ফোন। মূল্য কমপক্ষে ৪০০ ডলার।
১৭. ব্ল্যাকবেরি প্রিভ
ব্ল্যাকবেরির পুরনো ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা অ্যান্ড্রয়েড ফ্যান তাদের জন্য এ স্মার্টফোনটিই সেরা। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ব্ল্যাকবেরির প্রথম ফোন এটি। এ ফোনটিতে রয়েছে স্লাইড আউট কিবোর্ড। আপনি যদি ব্ল্যাকবেরির কিবোর্ড ছাড়াও গুগলের অ্যাপ ব্যবহার করতে চান তাহলে এটি হতে পারে দারুণ একটি স্মার্টফোন। মূল্য কমপক্ষে ৪১৩ ডলার।
১৮. মাইক্রোসফট লুমিয়া ৯৫০
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে লুমিয়া ৯৫০ নামের একটি উইন্ডোজ ফোন উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট। ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি মাপের এই ফোনটির ওজন ১৫০ গ্রাম। ৩ জিবি র‍্যামের ফোনটির স্টোরেজ ৩২ জিবি। কোয়ালকমের প্রসেসরযুক্ত ফোনটির পেছনে ২০ ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। মূল্য কমপক্ষে ৪৪৫ ডলার।
১৯. ব্ল্যাকবেরি ক্ল্যাসিক
স্বতন্ত্র অপারেটিং সিস্টেম ও নিরাপদ বার্তার কারণে ব্ল্যাকবেরিকে অনেকেই পছন্দ করেন। আপনি যদি ব্ল্যাকবেরির ফ্যান হন তাহলে ব্ল্যাকবেরি ক্ল্যাসিক হতে পারে আপনার প্রিয় স্মার্টফোন। এটি ব্যবহারে পুরনো ব্ল্যাকবেরির স্বাদ যেমন পাওয়া যাবে তেমন পরিষ্কার টাচস্ক্রিন ও দারুণ ফিজিক্যাল কিবোর্ডও পাওয়া যাবে। মূল্য কমপক্ষে ৩২৯ ডলার।
২০. ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট
ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট অনেকের কাছেই অদ্ভুত আকারের স্মার্টফোন। কিন্তু ব্ল্যাকবেরি ফ্যানরা তাদের প্রিয় বহু বিষয় পাবেন এর মাঝে। এর ফিজিক্যাল কিবোর্ডটি যেমন দারণ তেমন ব্যবহারও সুবিধাজনক। মূল্য কমপক্ষে ৪৫০ ডলার।