Tuesday, March 22, 2016

> শব্দের চেয়ে ৬ গুণ দ্রুতগতিতে চলবে প্লেন!


শব্দের চেয়ে ছয় গুণ দ্রুতগতিতে উড্ডয়নে সক্ষম এমন একটি প্লেন আনার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছে প্লেনটির নির্মাতা আমেরিকান মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নততর প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭৬২ মাইল (১২৩৬ কিমি) বেগে উড়তে সক্ষম একটি মিলিটারি প্লেন নির্মাণ করছেন, যা শব্দের তুলনায় ছয়গুণ এবং কনকর্ডের তুলনায় তিনগুণ দ্রুততর।
এই প্লেনগুলো সাধারণ জেটের মতো বায়ু সংকোচনে ফ্যান ব্লেইডের ব্যবহারের পরিবর্তে প্লেনের সম্মুখগতির ফলে সৃষ্ট ধাক্কায় সংকুচিত বায়ুর মধ্যে জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে উড়বে। বিগত বছরগুলোতে এ প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণার ফসল হিসেবে প্রকল্পটি অচিরেই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা।
প্রতিষ্ঠানটির অ্যারেনটিক্স বিভাগের প্রধান অরল্যান্ডো কার্ভালহো বলেন, সম্প্রতি এই অগ্রগতি ‘আরও দ্রুতগতিতে’ হচ্ছে, তবে এক্ষেত্রে উন্নতির আরও অনেক বাকি আছে।
প্রকল্পটির চেয়ারম্যান মেরিলিন হিউসন বলেন, “কম খরচের মধ্যেই যে হাইপারসনিক প্লেন বানানো সম্ভব তা আমরা প্রমাণ করতে যাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি এফ-২২ আকারের এমন একটি প্রদর্শনী প্লেন নির্মাণ ও উড্ডয়নে ১ বিলিয়নের কম ব্যয় হবে।”
কনকর্ডের ম্যাক ২ গতিসীমা অতিক্রমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিলো এর নির্মাণসামগ্রী। অন্যদিকে এসআর-৭২ এর ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা এড়াতে প্লেনটি স্পেইস শাটলের মতোই সিরামিক টাইলস দিয়ে ঢাকা থাকবে, যার ফলে প্লেনটি ম্যাক ৬ গতিসীমায় পৌঁছতে সক্ষম হবে।
এসআর-৭২ নামের এই প্লেন ২০৩০ সাল থেকে চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর শেষবারের মতো উড়েছিল বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক যাত্রীবাহী প্লেনগুলো।

> ধূমপান ছাড়তে চান? উপায় জানাচ্ছে নতুন গবেষণা


ধূমপান ছেড়ে দেবেন বলে আপনি কতবার প্রতিজ্ঞা করেছেন আর কতবার প্রতিজ্ঞা ভুলে আবারও ঠোঁটের ডগায় রেখেছেন সিগারেট? ধূমপান যাঁরা করেন তাঁদের মধ্যে অর্ধেক জন মনে করেন একটু একটু করে কমাতে থাকলে তবেই এই অভ্যাস ত্যাগ করা যায়।  আবার আর এক দলের বক্তব্য, ছাড়তে গেলে একবারে এক ঝটকায় ছাড়তে হয়। ধূমপানের এই অভ্যাস নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে। প্রায় ৭০০ জন ধূমপায়ীকে চিহ্নিত করেন গবেষকরা।
তাঁদের ভাগ করা হয় দু’টি দলে। একদল যাঁরা একদিনে ধূমপান ত্যাগ করবেন আর অন্যদল যাঁরা একটু একটু করে ধূমপানের মাত্রা কমিয়ে দেবেন।  দেখা গিয়েছে, যাঁরা একদিনে ধূমপান ছেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে ফের এই বদঅভ্যাসে ফিরে যাওয়ার হার অপেক্ষাকৃত কম। যাঁরা ৪ সপ্তাহ ধরে একটু একটু করে ধূমপান ত্যাগ করার পণ রেখেছিলেন, তাঁদের তুলনায় অনেকটাই সফল এক ঝটকায় ধূমপানত্যাগীরা।
তবে ধূমপান ছাড়লে শরীরে যে প্রভাব পড়তে পারে, সেই কথা মাথায় রেখে সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত সবাইকেই প্রয়োজনীয় মেডিকেশন দেওয়া হয়েছিল।  শেষ পর্যন্ত গবেষণার এইটিই সিদ্ধান্ত যে ধূমপান ছাড়তে হলে মনের জোর নিয়ে একবারে ছেড়ে দেওয়ার পণ নেওয়াই ভাল। তবে যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এর পাশাপাশি কিছু মেডিসিন নেওয়া প্রয়োজন যাতে ‘উইথড্রয়াল’ না হয়।

> বিনা পয়সার যে খাবারটি আজীবন যৌবন ধরে রাখে ও নতুন চুল গজায়, দেখে নিন কিভাবে খাবেন…

সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।
১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি
পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

Wednesday, March 9, 2016

এখন থেকে আপনার মোবাইল এসএমএসে চলবে টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ, সেচ পাম্প (ইবি শিক্ষার্থীর আবিষ্কার)

বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান, ফ্রিজ, এসি, সেচ পাম্পসহ সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি এখন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মোবাইলে এসএমএস করে। এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাবুল হাসান। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার শ্যামপুরে, পিতার নাম মো: মওলা বকস। মাহাবুল বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান স্যারের তত্ত্বাবধানে ছয় মাস গবেষণা করে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন তিনি। এর দ্বারা যন্ত্রের কাছে না থেকেও একই সাথে একাধিক যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই যন্ত্রের সাথে একটি সিম কার্ড রয়েছে। ওই সিমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে পরিচালকের ইচ্ছা অনুযায়ী দিক নির্দেশনা লিখে এসএমএস পাঠালে যন্ত্রটি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে। ফ্যান অফ করতে চাইলে “অফ” লিখে এসএমএস করতে হবে। অনুরুপভাবে অন করতে চাইলে “অন” লিখে এসএমএস করলেই ফ্যান ঘুরতে থাকবে। এসএমএস পাঠানোর পর যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরতি এসএমএসে পরিচালককে ফলাফল জানাবে। অর্থাৎ অফ হলে ফিরতি এসএমএসে “ফ্যান অফ” হয়েছে বলে পরিচালককে জানাবে। আবিষ্কারক মাহাবুল হাসান বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমার দাদা শীতের সকালে ফসলের জমিতে পানি সেচ দিতে যেতেন। তখন থেকেই ভাবতাম সেচ মেশিনটা যদি বাড়িতে বসেই চালু-বন্ধ করা যেত। স্নাতক শেষ বর্ষের প্রজেক্টে আমি বিষয়টি নিয়ে কাজ করে সফলতা পেয়েছি। আবিষ্কৃত যন্ত্রটি নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইবি শিক্ষার্থী মাহাবুল। এর আগে একই বিভাগের শিক্ষার্থী শামিম হোসেন রোবট আবিষ্কার করেছিলেন। মাহাবুলের তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা খুবই সম্ভাবনাময়ী। তবে দু:খজনক হলেও সত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণায় এক টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয় না। আবিষ্কারের নেশায় শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্দ্যোগে গবেষণা করছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা আবিষ্কার বিমুখ হয়ে পড়বে। আগামী দিনে আবিষ্কারের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।n.b:collected

> সপ্তাহে মাত্র একবার করুন এই কাজটি আর সুন্দরী থাকুন আজীবন

এই ব্যস্ত জীবনে কার এত সময় আছে ত্বকের যত্নে ব্যয় করার? কিন্তু তারপরও আমরা সবাই চাই ব্রণহীন, উজ্জ্বল, মসৃণ ও ফর্সা ত্বক। হ্যাঁ, আপনি চাইলেও কিন্তু পেতে পারেন তা। না, পার্লারে যেতে হবে না। কিনতে হবে না দামী দামী প্রসাধনীও। তাহলে উপায়?
খুবই সহজলভ্য উপাদানে তৈরি এই ফেসমাস্কটি সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করুন, আর তাতেই আপনার ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূরীভূত হয়ে সৌন্দর্য থাকবে অটুট। ত্বকের বাড়তি তেল কমে যাবে, ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডসের থাকবে না, কালো দাগছোপ মিলিয়ে যাবে, ত্বক হয়ে উঠবে নরম ও মসৃণ। যে কোন রকমের ত্বকে বা যে কোন বয়সের ত্বকেই কাজ করবে এই ফেসমাস্কটি। আর সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। কী করবেন? চলুন জেনে নিই।
যা লাগবে
১ চা চামচ অলিভ অয়েল
১/২ চা চামচ খাঁটি মধু
১ চা চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয়, সোডা। যে কোন সুপার শপে কিনতে পাবেন)

যা করবেন

  • -প্রথমে মুখ খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • – এরপর সমস্ত উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • -এই পেস্ট পরিষ্কার ত্বকে মাখুন। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • -১০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • -প্রত্যেক সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার করলেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, সমস্যাবিহীন ও একেবারেই দাগছোপ মুক্ত।

কীভাবে কাজ করে?

এই মাস্কের মূল উপাদান মধু যা ত্বকে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ দূর করার মাধ্যমে ব্রণ কমায়। এছাড়াও রোমকূপ সংকুচিত করে ফলে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও মধু ত্বককে টানটান ও সজীব করে তোলে। এছাড়াও এতে আছে অলিভ অয়েল যা ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আছে বেকিং সোডা, যা ত্বকের মরা কোষ কয়েক মিনিটের মাঝেই দূর করে দেয় এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।N.B:COLLECTED

১২ টাকার ওষুধে ডায়াবেটিস নির্মূল

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এমন ওষুধ তৈরি করছে ডেনমার্কের কোম্পানি নভো নরডিস্ক। তবে রোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ধরনের ওষুধও তৈরি করছে কোম্পানিটি।বুধবার ডেইলি স্টার ভবনে নভো নরডিস্ক আয়োজিত ‘করপোরেট সাসটেইনেবিলিটি থ্রো ট্রিপল বোটম লাইন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নভো নরডিস্ক কোম্পানির ভাইস পেসিডেন্ট শুসানি স্টোরমার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রোগের ওপর নির্ভর করে আমরা ১২ টাকা থেকে ২ হাজার ৪৯০ টাকা পর্রন্ত মূল্যের ডায়াবেটিস ওষুধ বাংলাদেশে বাজারজাত করছি। আমরা শুধু ব্যবসা করছি না, মানবসেবাও করছি। ব্যবসায় ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক ,সামাজিক ও পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে আমাদের কোম্পানিটি ব্যবসায় দীর্ঘ মেয়াদি সফলতা পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এ তিনটি জিনিস খুবই জরুরি। আমরা বিশ্বাস করি ব্যবসার ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিলে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। আর এ কারনে একাধিক টেকসই কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমাদের কোম্পানিটি অন্যতম। আমরা সব ধরনের ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরি করি।’


তিনি জানান, আগামী এপ্রিলে রাইজুডেগ নামে আধুনিক ইনসুলিন বাংলাদেশে বাজারজাত শুরু করবে নভো নরডিস্ক। এটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রাখা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি ৭ সেকেন্ডে বিশ্বে এক জন ডায়াবেটিস রোগী মারা যায়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৯ লাখ। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্যমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এমন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হবে। বিশ্বে বর্তমানে ৩৮৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সংখ্যা বেড়ে ২০৩৫ সালের ৫৯২ মিলিয়নে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন।
অলস জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে শহরে বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এ জন্য গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ডায়াবেটিস বেশি হয়।
প্রসঙ্গত, নভো নরডিস্ক ৯০ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও কোম্পানিটিতে বিশ্বের ৭৫টি দেশে ৪১ হাজার ৪৫০ জন ‍লোক কাজ করছে। এছাড়া ১৮০টি দেশে কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত হচ্ছে।n.b: collected.