Sunday, June 29, 2025

কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ? Palash Dip

 কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এর ওপর আপনার ব্যক্তিগত কর্মদক্ষতা, মানসিক শান্তি এবং সামগ্রিকভাবে অফিসের পরিবেশ নির্ভর করে। যদি সহকর্মীদের সাথে মনোমালিন্য হয়, তাহলে তার পরিণতি ইতিবাচক হওয়ার চেয়ে নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

কেন সুসম্পর্ক জরুরি?

 * সহযোগিতা বৃদ্ধি: সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে দলগত কাজ সহজ হয়। একে অপরের প্রতি আস্থা তৈরি হয়, যা কাজের মান উন্নত করে। প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য পাওয়া যায়, যা ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক।

 * কর্মপরিবেশের উন্নতি: ইতিবাচক সম্পর্ক একটি আনন্দদায়ক এবং সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করে। এর ফলে অফিসের চাপ কমে এবং কাজ করতে ভালো লাগে।

 * যোগাযোগের উন্নতি: সুসম্পর্ক থাকলে খোলামেলা যোগাযোগ সম্ভব হয়। সমস্যা হলে তা দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করা যায়, ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ কমে।

 * মানসিক শান্তি: প্রতিদিন যাদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়, তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে মানসিক চাপ অনেক কমে। কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়।

 * পেশাগত উন্নতি: সহকর্মীদের কাছ থেকে নতুন কিছু শেখা যায়, তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়। ভালো সম্পর্ক থাকলে তারা আপনার কাজকে সমর্থন করবে এবং আপনার উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে।

 * সমস্যা মোকাবিলা: অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা এলে সহকর্মীদের সহায়তা পাওয়া যায়, যা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে।

মনোমালিন্য হলে কী হতে পারে?

সহকর্মীদের সাথে মনোমালিন্য হলে তার ফলাফল সাধারণত ক্ষতিকর হয়:

 * কাজের ক্ষতি: মনোমালিন্য হলে কাজের সমন্বয় নষ্ট হয়। একে অপরকে সাহায্য করার প্রবণতা কমে যায়, যার ফলে প্রকল্পের অগ্রগতি ধীর হতে পারে বা কাজের মান কমে যেতে পারে।

 * অফিসের পরিবেশ নষ্ট: কর্মক্ষেত্রে উত্তেজনা এবং নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়, যা সবার জন্য অস্বস্তিকর। এর ফলে অফিসের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা কমে।

 * মানসিক চাপ বৃদ্ধি: মনোমালিন্য আপনার ব্যক্তিগত মানসিক চাপ অনেক বাড়িয়ে দেয়। কর্মক্ষেত্রে যেতে অনীহা তৈরি হতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনকেও প্রভাবিত করে।

 * যোগাযোগের অভাব: ভুল বোঝাবুঝি বা মনোমালিন্য থাকলে একে অপরের সাথে কথা বলা কমে যায়। প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান হয় না, যা ভুল সিদ্ধান্ত বা কাজের ত্রুটির কারণ হতে পারে।

 * একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতা: মনোমালিন্যের কারণে আপনি কর্মক্ষেত্রে নিজেকে একা বা বিচ্ছিন্ন মনে করতে পারেন, যা আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।

 * পেশাগত ক্ষতির সম্ভাবনা: ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখে আপনার ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে। দলগত কাজে সমস্যা তৈরি হওয়ায় আপনার কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, যা আপনার পদোন্নতি বা ভবিষ্যতের সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

 * অস্থিরতা: মনোমালিন্য অফিসের মধ্যে গ্রুপিং বা বিভেদ তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর।

ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিণতি (লাভ বনাম ক্ষতি)

লাভ: মনোমালিন্য থেকে সরাসরি কোনো স্থায়ী লাভের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, যদি কোনো মনোমালিন্য থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের যোগাযোগ বা আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে সেটি পরোক্ষ লাভ হিসেবে গণ্য হতে পারে। কিন্তু এটি খুবই বিরল এবং ক্ষতিকর প্রভাবই বেশি।

ক্ষতি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিই হয়। কর্মজীবনের স্থায়িত্ব, মানসিক সুস্থতা, পেশাগত উন্নতি—সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এমন পরিস্থিতি কর্মজীবন ছেড়ে দেওয়ার কারণও হতে পারে।

পরিত্রাণের উপায়

যদি সহকর্মীদের সাথে মনোমালিন্য হয়, তবে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

 * খোলামেলা কথা বলুন: যদি সম্ভব হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সহকর্মীর সাথে সরাসরি এবং শান্তভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন এবং তার কথাও শুনুন। ভুল বোঝাবুঝি দূর করার এটিই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

 * শ্রবণ দক্ষতা বাড়ান: অন্য সহকর্মীর দৃষ্টিকোণ বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয় কারণ আমরা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি না।

 * সমাধানে মনোযোগ দিন, দোষারোপ নয়: কে দায়ী, তা নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে সমস্যার সমাধানে মনোযোগ দিন। "আমি" এবং "আপনি" এর পরিবর্তে "আমরা" শব্দটি ব্যবহার করুন।

 * ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমা করা: যদি আপনার দিক থেকে কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে ক্ষমা চাইতে দ্বিধা করবেন না। একইভাবে, যদি অন্য কেউ ক্ষমা চায়, তবে উদারভাবে ক্ষমা করে দিন।

 * তৃতীয় পক্ষের সহায়তা: যদি ব্যক্তিগতভাবে সমাধান করা সম্ভব না হয়, তবে একজন নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ (যেমন, ম্যানেজার বা এইচআর) এর সহায়তা নিতে পারেন। তারা মধ্যস্থতা করে একটি সমাধান খুঁজে দিতে পারেন।

 * পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন: ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হলেও কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন। কাজের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়তে দেবেন না।

 * সীমা নির্ধারণ করুন: যদি কোনো সহকর্মী বারবার সমস্যা তৈরি করে, তবে তার সাথে একটি নির্দিষ্ট পেশাগত সীমা বজায় রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত আলোচনা এড়িয়ে চলুন।

 * ইতিবাচক মনোভাব রাখুন: ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করলে তা চারপাশের মানুষের ওপরও প্রভাব ফেলে। আপনার শান্ত ও ইতিবাচক আচরণ উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে।

 * নিজেকে শান্ত রাখুন: মনোমালিন্যের সময় আবেগপ্রবণ না হয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। গভীর শ্বাস নিন এবং পরিস্থিতি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন।

সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ছোটখাটো সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার মাধ্যমে বড় ধরনের মনোমালিন্য এড়ানো সম্ভব। আপনার কর্মজীবনের সাফল্যের জন্য এটি একটি অপরিহার্য অংশ।

Thursday, June 12, 2025

পুরুষ নির্যাতন Palash Dip

বাংলাদেশে 'পুরুষ নির্যাতন


দমন আইন' নামে কোনো সুনির্দিষ্ট বা পৃথক আইন নেই, যেমনটি 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০' রয়েছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে পুরুষরা নির্যাতনের শিকার হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন না। বাংলাদেশের প্রচলিত কিছু সাধারণ আইন এবং কিছু বিশেষ আইনের ধারার মাধ্যমে পুরুষরা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন_PalashDip

পুরুষদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে এমন কিছু আইন ও ধারা নিচে উল্লেখ করা হলো:(Palash Dip)
১. দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (The Penal Code, 1860):
* শারীরিক নির্যাতন: যদি কোনো পুরুষ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করতে পারেন। যেমন:
* ধারা ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা): সাধারণ আঘাতের জন্য।
* ধারা ৩২৫ (গুরুতর আঘাত করা): গুরুতর আঘাতের জন্য।
* ধারা ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা): হত্যার চেষ্টার জন্য।
* ধারা ৩২৬ (মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত): ধারালো অস্ত্র বা অন্য কোনো মারাত্মক বস্তুর দ্বারা গুরুতর আঘাত করার জন্য।
* যৌন নির্যাতন/বলাৎকার: দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা (প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ) পুরুষদের যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে, যদিও এই ধারাটি সমকামিতা এবং অপ্রাকৃতিক যৌনকর্মকে মূলত নির্দেশ করে। তবে, সাম্প্রতিককালে উচ্চ আদালত কিছু ক্ষেত্রে ছেলেশিশুদের বলাৎকারকে ধর্ষণের সমতুল্য বিবেচনা করেছেন, যদিও দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা (ধর্ষণ) কেবল নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পুরুষ ধর্ষণের শিকার হলে সুনির্দিষ্ট আইনের অভাবে প্রতিকার পেতে জটিলতা দেখা যায়।
* মিথ্যা মামলা: যদি কোনো পুরুষ মিথ্যা মামলা, বিশেষ করে নারী নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মিথ্যা মামলার শিকার হন, তাহলে দণ্ডবিধির ১৯৩ (মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া), ২১১ (ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ) বা ২১০ (মিথ্যা মামলা করা) ধারায় প্রতিকার চাইতে পারেন।(Palash Dip)
২. পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০:
* এই আইনটি মূলত নারী ও শিশুদের পারিবারিক সহিংসতা থেকে সুরক্ষার জন্য প্রণীত হলেও, এর কিছু ব্যাখ্যায় সহিংসতা বলতে শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক – সব ধরনের নির্যাতনকে বোঝানো হয়েছে। এই আইনের "ব্যথিত ব্যক্তি" (aggrieved person) এর সংজ্ঞায় নারী ও শিশুর কথা বলা হলেও, কিছু ক্ষেত্রে পুরুষরাও মানসিক বা অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার হলে এর আওতাভুক্ত হতে পারেন এমন বিতর্ক রয়েছে। তবে, আইনটির মূল লক্ষ্য নারী ও শিশু হওয়ায় পুরুষদের জন্য এটি সরাসরি এবং পূর্ণাঙ্গ সমাধান দেয় না।@PalashDip
৩. ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (The Code of Criminal Procedure, 1898):
* যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য থানায় এজাহার (FIR) দায়ের করা যায়। যদি পুলিশ মামলা নিতে না চায়, তাহলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা (Complaint Case) দায়ের করা যায়। পুরুষরাও এই সাধারণ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচার চাইতে পারেন।
পুরুষ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা:
* সুনির্দিষ্ট আইনের অভাব: বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট আইন আছে, পুরুষদের জন্য তেমন কোনো পৃথক 'পুরুষ নির্যাতন দমন আইন' নেই। ফলে পুরুষ নির্যাতনের শিকার হলে তাদের সাধারণ ফৌজদারি আইনগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়, যা অনেক সময় পর্যাপ্ত হয় না বা প্রতিকার পেতে জটিলতা সৃষ্টি করে।
* সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ট্যাবু: পুরুষরা নির্যাতিত হলে, বিশেষ করে পারিবারিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে, সমাজে তা সহজে স্বীকার করা হয় না। পুরুষদের "শক্তিশালী" হিসেবে দেখার প্রবণতার কারণে তারা নির্যাতনের শিকার হলেও অনেক সময় লজ্জা বা সামাজিক সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে দ্বিধা করেন।
* ধর্ষণের সংজ্ঞায় সীমাবদ্ধতা: দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা শুধু নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ফলে পুরুষ, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরা ধর্ষণের শিকার হলে সরাসরি এই ধারায় মামলা করতে পারেন না।
* মিথ্যা মামলার অপব্যবহার: অনেক ক্ষেত্রে নারী নির্যাতন দমন আইনের অপব্যবহার করে পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়। যদিও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে, তবে সেই প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ ও জটিল।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
অনেক মানবাধিকার কর্মী এবং বিভিন্ন পুরুষ অধিকার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছে। এর ফলে পুরুষরাও তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের জন্য যথাযথ আইনি প্রতিকার পেতে পারবে এবং সমাজে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হবে।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের আইনে পুরুষ নির্যাতনের জন্য সরাসরি কোনো পৃথক আইন না থাকলেও, প্রচলিত কিছু আইনের মাধ্যমে আংশিক প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, একটি সুনির্দিষ্ট আইনের অভাব এবং সামাজিক ট্যাবু পুরুষদের আইনি আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা।@palashdip
Palash Dip
Inspector
Bangladesh Police
#আইন #police #life #palashdip #আদালত

স্টারলিংকের দিন শেষ, আসছে তারা_Palash Dip

 স্টারলিংকের দিন শেষ, আসছে তারা_Palash Dip


প্রযুক্তির ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ‘স্টারলিংক’। তবে এবার সেই প্রযুক্তিকে টক্কর দিতে আবির্ভূত হয়েছে এক ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্টার্টআপ ‘তারা’ নিয়ে এসেছে স্যাটেলাইট বা ফাইবার ছাড়াই উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রযুক্তি।


কীভাবে কাজ করে তারা 

‘তারা’র প্রযুক্তি মূলত কাজ করে লাইট ব্রিজ এর মাধ্যমে। এতে এক পাশে থাকে লেজার প্রজেক্টর, অন্য পাশে রিসিভার। এই লেজার সরাসরি ডেটা পাঠায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে, যার ফলে কোনো স্যাটেলাইট বা ভূগর্ভস্থ ফাইবারের প্রয়োজন পড়ে না।


গতিতে স্টারলিংককে ছাপিয়ে  

তারা দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি স্টারলিংকের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি গতি দিতে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে এবং ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত তা বজায় রাখতে সক্ষম।


প্রাকৃতিক বাধায়ও নির্ভরযোগ্য  

‘তারা’ ব্যবহার করছে অটো-অ্যালাইনমেন্ট সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেজারের দিক ঠিক করে সংযোগ স্থিতিশীল রাখে। কুয়াশা, বৃষ্টি বা পাখির মতো বাধাও সংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে না।


বিশ্বজুড়ে সফল ব্যবহার  

ইতোমধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তারা’র প্রযুক্তি। কঙ্গো নদীর দুই তীরের রাজধানী—ব্রাজাভিল ও কিনশাসার মাঝে এই লেজার লিংকে ৭০০ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সফার হয়েছে ৯৯.৯৯% আপটাইম নিশ্চিত করে।


ফোনোটিক্স চিপ

২০২৬ সালে তারা বাজারে আনছে ‘ফোনোটিক্স চিপ’, যা ড্রোন, স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ও IoT ডিভাইসে ব্যবহৃত হবে। দুর্যোগকালে এটি ফাইবার নেটওয়ার্কের বিকল্প হিসেবেও কাজ করতে পারবে।‘তারা’র উদ্ভাবন সত্যিই এক নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন এটা কি স্টারলিংকের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যাবে? নাকি উভয় প্রযুক্তি যুগপৎ এগিয়ে গিয়ে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট অভিগম্যতা আরও সহজ করে তুলবে? উত্তর দেবে সময়।(Collected)

Monday, June 9, 2025

ফেসবুক থেকে বোনাস পাওয়ার নিয়ম

 

ফেসবুক থেকে বোনাস পাওয়ার নিয়ম

ফেসবুক এক্সট্রা বোনাস 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য উপার্জনের পদ্ধতিতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন আনে। কয়েক মাস হলো তারা ‘কনটেন্ট মনিটাইজেশন’ নামে নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। পর্যায়ক্রমে সব পেজ ও প্রোফাইলে এই কনটেন্ট মনিটাইজেশন চালু হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির বা বড় বড় পেজ, যারা নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করে এমন প্রায় সব পেজে কনটেন্ট মনিটাইজেশন চালু হয়েছে। তবে পেজে ভায়োলেশন বা স্ট্রাইক থাকলে সেই পেজ বা প্রোফাইল অনেক সময় কনটেন্ট মনিটাইজেশন পায় না।

কনটেন্ট মনিটাইজেশন যাদের চালু হয়েছে তাদের অনেকেই বোনাস অফার পাচ্ছেন। তবে বোনাস কার জন্য কী পরিমাণ হবে এবং কার জন্য কী শর্ত থাকবে তা ওই পেজ বা প্রোফাইলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। আপনার পেজ কতটা সক্রিয়, কনটেন্টের গুণমান কেমন, দর্শকের সাথে আপনার ইন্টার‍্যাকশন কেমন- এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে ফেসবুক সিদ্ধান্ত নেয় আপনার জন্য কোন ধরনের অফার সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এজন্য একই ধরনের পেজ হলেও একেকজনের বোনাস অফার ও শর্ত আলাদা হয়ে থাকে।। ফলে বোনাস অফার একজনের সঙ্গে অন্যজনের মিলবে না, আবার বোনাসের শর্তও থাকবে আলাদা। একটি নির্দিষ্ট পেজের একাধিক বোনাস অফারের ক্ষেত্রেও শর্ত আলাদা থাকে।

আপনার জন্য কোনো বোনাস অফার আছে কি না তা আপনি আপনার পেজ বা প্রোফাইলে গিয়ে দেখতে পাবেন। মোবাইল থেকে সরাসরি ড্যাশ বোর্ডে (Dashboard) গিয়ে মনিটাইজেশনে (Monetization) যেতে হবে। মনিটাইজেশনে গেলে আপনি কনটেন্ট মনিটাইজেশন (Content Monetisation) দেখতে পাবেন। এখানে ক্লিক করলে এক্সট্রা বোনাস (Extra Bonus) লেখা দেখা যাবে। তার নিচে আপনার বোনাসের পরিমাণ ও শর্ত দেখতে পাবেন। কম্পিউটারে হলে আপনার পেজ বা প্রোফাইলে সুইচ করে মনিটাইজেশনে যেতে হবে। সেখানে আপনি কনটেন্ট মনিটাইজেশন পাবেন। সেটাতে ক্লিক করে সামনে এগোলে এক্সট্রা বোনাস অফার থাকলে তা দেখা যাবে।

ফেসবুকের বোনাস অফারগুলো সাধারণত ৭ দিনের মেয়াদে কার্যকর থাকে। অফার প্রাপ্তির দিন থেকেই ৭ দিনের মধ্যে নির্ধারিত শর্ত বা টার্গেট পূরণ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি এক্সট্রা বোনাস অফারে বলা হতে পারে- ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৩টি কনটেন্টে ১০ লাখ করে রিচ হলেই আপনি পাবেন ৩০০ ডলার।’ যদিও ৭ দিনের সময়সীমা ও কনটেন্টের সংখ্যাটি প্রায় সবার জন্য এক, তবে প্রত্যেক কনটেন্টে কত রিচ লাগবে এবং বোনাসের পরিমাণ কত হবে, তা একেক ব্যবহারকারীর জন্য ভিন্ন হতে পারে। এমনকি, একই পেজে পরপর দুটি বোনাস অফার হলেও, সেগুলোর শর্ত ও অর্থমূল্য আলাদা হতে পারে।

সাত দিন পার হওয়ার পরও যদি আপনি বোনাস অফারের টার্গেট বা শর্ত পূরণ করতে না পারেন তাহলে শুধু ওই বোনাস অফারটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ফলে এর পরে ওই পরিমাণ কনটেন্টে রিচ হলেও বোনাস পাওয়া যাবে না। তবে একটি বোনাস অফার যখন শেষ তখন সাধারণত পরবর্তী সপ্তাহে ফেসবুক নতুন আরেকটি বোনাসের অফার দেয়।

এখানে ফেসবুক ওই পেজের পারফরম্যান্স বুঝে নতুন অফার দেয়। যেমন- যদি আপনি আগের অফারের টার্গেট পূরণ করতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য পরের অফার সহজ ও কম ডলারের হতে পারে। আগে ৩টি কনটেন্ট আপনি ১০ লাখ করে পূরণ করতে না পারায় এবার আপনাকে ৩টি কনটেন্ট ৮ লাখ করে রিচের শর্ত দেওয়া হতে পারে। আগের ৩০০ ডলারের জায়গায় এবার ২৫০ ডলার হতে পারে।

আবার যদি আপনি আগের বোনাস অফারের টার্গেট পূরণ করতে পারেন তাহলে এবার আপনার জন্য একটু কঠিন করা হতে পারে। যেমন আপনি ৩টি কনটেন্ট ১০ লাখ করে রিচ করতে পারলে এবার আপনাকে ১২ লাখ করে রিচের শর্ত দেওয়া হতে পারে। ডলারের পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে। (পলাশ দ্বীপ)

(Collected)

Palash Dip

https://www.facebook.com/share/1CCMTJSvxA/

https://youtube.com/@palashdip?si=f4DdzSse1Yv7l1xC



Saturday, April 8, 2023

Monday, November 8, 2021

ক্যান্সার_সচেতনতাঃ

 #ক্যান্সার_সচেতনতাঃ


ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।


তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-


১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।


২. এরপর এক গ্লাস গরম জলে একটি লেবু চিপে মি


শিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম জল পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।


মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।


৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।


চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।


উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।


সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।


তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।”


 #সূত্রঃরেডিট

 #কালেক্টেড

 সকল ফেসবুক বন্ধুরা এটা শেয়ার করুন যদি কাউর কাছে আসে আমাদের পোষ্ট সার্থক হবে এবং কাউর না কাউর জীবন অল্পতে বেছে যাবে।