Friday, October 28, 2016

Hemorrhoids Operation

সে একটা দিন ছিল বুড়িমার।


সে একটা দিন ছিল বুড়িমার। এক পুজো থেকে আর এক পুজো বারো মাসই চাপ আর চাপ। তবে লক্ষ্মীপুজোর পরে চাঁদ যত ছোট হয়ে আসত তত দম ফেলার ফুরসৎ থাকত না তাঁর। ডজন, ডজন বাজি চাই। শুধুই কালীপুজো নাকি! ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচেও তো ‘বুড়িমা’-ই গর্জে উঠত।
এই সর্বজনীন বুড়িমার আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায়। দেশভাগে ভিটেছাড়া করে নিয়ে আসে পূর্বতন পশ্চিম দিনাজপুর জেলার ধলদিঘি সরকারি ক্যাম্পে।
উদ্বাস্তুদের পার্মানেন্ট লায়াবিলিটি ক্যাম্প থেকে হাওড়া জেলার বেলুড়ে পার্মানেন্ট ঠিকানা হওয়ার মাঝে ছিল অনেক লড়াই। হ্যাঁ, সেই গরিব ঘরের লড়াকু মেয়েই পরবর্তী জীবনে সফল ব্যবসায়ী ‘বুড়িমা।’
স্বামী সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যু হয় পূর্ব পাকিস্তানে থাকার সময়েই। তার পরেই ওপার বাংলা ছেড়ে এই বঙ্গে আশ্রয় নেন তিন মেয়ে এক ছেলের মা অন্নপূর্ণা। তিনি  ১৯৪৮ সালে  ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে ভারতে আসেন। অর্থাভাব কিংবা সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে রিফিউজি ক্যাম্পে চলে আসার গ্লানি তাঁকে হারাতে তো পারেইনি, উল্টে আরও লড়াকু করে তোলে। ধলদিঘির বাজারে রাস্তায় উচ্ছে, ঝিঙে, পটল, মুলো বিক্রি করে সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন অন্নপূর্ণা।
ধলদিঘি থেকে এক সময়ে গঙ্গারামপুরে চলে যান অন্নপূর্ণা। তার আগে তিনি কিছুদিন বিড়ি বাঁধার কাজ করতেন। আর সেই কাজ করতে করতেই শুরু করে দেন বিড়ির ব্যবসা। একদিন সত্যিই স্বপ্নের মতো তাঁর নিজের বিড়ি কারখানা গড়ে ওঠে।
কিন্তু বেশিদিন সেখানেও থাকা হয়নি। মেয়ের বিয়ে দিলেন হাওড়ার বেলুড়ে। সেই সূত্রে বেলুড়ের প্যারিমোহন মুখার্জি স্ট্রিটে একটা দোকান-সহ বাড়িও কিনলেন। এবার ব্যবসাও বাড়ল। বিড়ির সঙ্গে যুক্ত হয় আলতা, সিঁদুরের ব্যবসা। শুধু কি তাই! বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি, দোলের রং, কালীপুজোর বাজি এমন ছোটখাটো নানা ব্যবসাই শুরু করেন। তবে তখন নিজে তৈরি করতেন না, অন্যের থেকে কিনে এনে বিক্রি করতেন।
ততদিনে তিনি রীতিমতো বুড়ি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্রে তাঁর উৎসাহ তারুণ্যকে হার মানাবে। এই সময়েই নাকি তাঁর দোকানে এসে অনেকে অন্নপূর্ণাদেবীকে ‘বুড়িমা’ বলে সম্বোধন করতেন। আর তার পরেই কেমন করে যেন তিনি সবার ‘বুড়িমা’ হয়ে যেতে থাকেন।  
এক সময়ে অন্নপূর্ণাদেবী দেখলেন বাজি কিনে বিক্রির থেকে অনেক বেশি লাভ বাজি তৈরি করে বিক্রি করতে পারলে। সরকারি নিয়ম মেনে শুরু করেন বাজি কারখানা। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজেই খোঁজ করে নিয়ে আসেন বাজির কারিগরদের। নিজের নতুন নামেই তৈরি করলেন ব্র্যান্ড। ‘বুড়িমা’ হয়ে উঠল বাজির জগতে এক বিখ্যাত নাম। ব্যবসা বাড়তে লাগল। এক সময়ে ছেলে সুধীরনাথও যুক্ত হলেন মায়ের ব্যবসায়ে। তত দিনে তিনি নানা রকমের আতসবাজি বানানো শুরু করেছেন, কিন্তু বিখ্যাত হয়ে যায় ‘বুড়িমার চকলেট বোম।’
এর পরেও থমকে যাননি বুড়িমা মানে অন্নপূর্ণা দেবী। অন্ধ্রপ্রদেশের শিবকাশীতে একটি দেশলাই কারখানা তৈরি করেন। এই রাজ্যে ডানকুনিতে চলতে থাকে তাঁর বাজির কারখানা। ব্যবসায় আসেন নাতিরাও। collected from Newspapers. 

Monday, August 29, 2016

সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ

সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৮ (ভূমি মন্ত্রণালয় অুনসারে ১৮৮৭) সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপ ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম পরিচ্ছেদে অনুসারে সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশে পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপের মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মৌজা নকশা (ম্যাপ) প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক ভূমির বাস্তব অবস্থা, আয়তন, শ্রেণী, পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এ জরিপ পি-৭০ সীটে কিস্তোয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সিএস জরিপ ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামু থানা হতে আরম্ভ হয় এবং ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায় শেষ হয়। সে সময়ে সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অধীন থাকায় সিলেট জেলায় সিএস জরিপ হয়নি। তবে জরুরী বিবেচনায় ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের (Sylhet tenancy Act) আওতায় সিলেট জেলার ক্যাডাষ্ট্রাল সার্ভে ১৯৫০ সালে আরম্ভ করা হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর অধীনে ঐ জরিপ ১৯৬৩ সালে শেষ হয়।
সি.এস. জরিপে সময় প্রস্তুতকৃত খতিয়ানে জমিদারগণের নাম খতিয়ানের উপরিভাগে এবং দখলকার রায়তের নাম খতিয়ানের নিচে লেখা হত। সে সময় জমিদারগণ সরকার পক্ষে জমির মালিক ছিলেন এবং রায়তগণ প্রজা হিসেবে শুধুমাত্র ভোগ দখলকার ছিলেন।
প্রথম জরিপ এই জরিপ এবং প্রস্তুতকৃত নকশা ও খতিয়ান খুবই নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে এখনো গ্রহণীয়। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২/৪/১৯৫৬ তারিখে এই আইনের ৩ ধারার আওতাধীন বিজ্ঞপ্তির মূলে সরকার কর্তৃক সকল জমিদারি দখল নেয়ার পর উক্ত এ্যাক্টের ১৭ ধারা মোতাবেক যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় তা এস এ খতিয়ান বলে পরিচিত ।
মূলত, জমিদারী ও মধ্যস্বত্ব বিলোপ করে জমিদারগণকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন এবং ভূমি মালিকগণকে/রায়তকে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করার লক্ষ্যে সে সময় একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ ও রেকর্ড সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালিত হয় যা পরবর্তীতে এসএ খতিয়ান বলে পরিচিত পায় । ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে ভূমি মালিকের নাম ও জমির বিবরণাদি সম্বলিত হাতেলেখা রেকর্ড/খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় । সে সময় এই রেকর্ড মোট তিন কপি প্রস্তুত করা হয় যার মধ্যে একটি জেলা রেকর্ড রুমে, এক কপি তহশলি ( ইউনিয়ন ভূমি অফিস) অফিসে এবং অন্যটি সার্কেল পরিদর্শক (উপজেলা রাজস্ব) অফিসে প্রদান করা হয় । জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
পি.এস. জরিপ (Pakistan Survey)
এস.এ. জরিপকেই পি.এস. জরিপ বলে। ১৯৫৬ হতে ১৯৬২ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়।
আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)
সি.এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমির অবস্থা, প্রকৃতি, মালিক, দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার লক্ষ্যে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এস.এ. জরিপের সময় সরেজমিনে তদন্ত বা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা হয়নি। জমিদারদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এস.এ জরিপ বা খাতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল যার কারণে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যায়। এই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি জরিপ করার সিদ্ধান্ত নেয় যা আর.এস বা. Revisional Survey জরিপ হিসেবে পরিচিত। এই জরিপে প্রস্তুতকৃত নকশা (ম্যাপ) এবং খতিয়ান নির্ভূল হিসেবে গ্রহণীয়।
সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।
দিয়ারা জরিপ কি?
দিয়ারা জরিপ হলো দরিয়া সম্পর্কিত জরিপ। জেগে উঠা নতুন ভূখন্ড (চর) জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে সিকস্তি পয়স্তির কারণে ভৌগলিক সীমারেখা ও স্বত্বের পরিবর্তন হলে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় নতুন জরিপ করা হয়। এ সমস্ত জরিপে নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এটি অতি পুরাতন জরিপ। ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৮৮ সালে, পক্ষান্তরে দিয়ারা জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৬২ সালে। দিয়ারা জরিপে সাধারন জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরন করে পয়স্তি ভূমির(চর) নক্রা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে ৪টি (রাজশাহী, নরসিংদী, চট্রগ্রাম ও বরিশাল) বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অফিস ও ক্যাম্পের মাধ্যমে সারাদেশের সুনির্দির্ষ্ট কিছু মৌজায় এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়।
Collected from newspapers. 

Sunday, August 14, 2016

এসআই পদে নির্বাচিতদের প্রশিক্ষণের তারিখ ঘোষণা

২০১৫ সালের ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌলিক প্রশিক্ষণের তারিখ ঘোষণা করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স।১ বছরব্যাপি এই প্রশিক্ষণ আগামী ২৭ আগস্ট রাজশাহীর সারদার পুলিশ একাডেমিতে শুরু হবে। মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পর্ণ করা প্রার্থীদের শিক্ষানবিস উপ পরিদর্শক (এসআই) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
রোববার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তারিখ ঘোষণা করা হয়।

প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ১ হাজার ৩৮৯ জন এবং মহিলা প্রার্থী ৪১ জন।অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের বহিরাগত ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভিআর অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণে প্রেরণযোগ্য বিবেচনায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদায় মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ৫৪০ জন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ১৪৫, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১৯২, রাজশাহী রেঞ্জের ১০৯, খুলনা রেঞ্জের ১৬৬, বরিশাল রেঞ্জে ১১৩, সিলেট রেঞ্জের ৪৭, রংপুর রেঞ্জের ১২১ জনের নাম রয়েছে।
উত্তীর্ণদের ২৬ আগস্টের মধ্যে সারদায় উপস্থিত থাকতে হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ জুন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। ওই সময় সারা দেশে ১ হাজার ৫১৭ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।(collected)

Saturday, August 13, 2016

> বাংলাদেশের শীর্ষ সম্পদশালী

২০১৩-১৪ সালের করবর্ষের সম্পদ বিবরণীর তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষ সম্পদশালী ৫০ ব্যক্তির তালিকায় দেখা গেছে, ১০০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন ২৭ জন। আর ৫০ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকার নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন এমন সম্পদশালীর সংখ্যা ৪৬ জন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের তালিকায় এমন তথ্য জানা গেছে। মোট সম্পদ থেকে মোট দায় বাদ দিলে যা থাকে তাই নিট সম্পদ।
এনবিআরের তালিকায় শীর্ষ দশ সম্পদশালী
শওকত আলী চৌধুরী
প্রকাশিত নিট সম্পদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। তার প্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ২৭৫ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
শওকত আলী চৌধুরী শিপ রিসাইক্লিং, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, রিয়েল এস্টেট, পাওয়ার জেনারেশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস, কনটেইনার টার্মিনাল এন্ড হ্যান্ডলিং, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, শেয়ার ব্রকারস এন্ড টি প্লান্টেসন এন্ড প্রোডাকশন ব্যবসার সাথে জড়িত। শওকত আলী চৌধুরী সার্ক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রি, ভাটিয়ারি গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে এর আজীবন সদস্য। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চ্যম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রি এর ডিরেক্টর এবং চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড এর চট্টগ্রাম সিনিয়র ক্লাব লিমিটেড ও বাংলাদেশ শিপ ব্রেকারস সমিতির সদস্য পরিচালক। এছাড়াও তিনি অন্যান্য অনেক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

সাইফুল ইসলাম
দ্বিতীয় সম্পদশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন নাভানা গ্রুপের সাইফুল ইসলাম। তার নিট সম্পদের পরিমাণ ২৭০ কোটি টাকা। সাইফুল ইসলাম নাভানা গ্রুপের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কামালের ছেলে। তিনি ব্যবসা বিষয়ে ভারতের নিউ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে থাকতেই তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপে যোগদান করেন। ২০০০ সালে নাভানা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। সেসময় থেকেই তিনি নাভানা রিয়ের এস্টেট লিমিটেড, নাভানা কন্সট্রাকশন লিমিটেড, নাভানা সিএনজি লিমিটেড পরিচালনায়ও ভূমিকা রেখে আসছেন।
সা’দাত সোবহান 
২০৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সা’দাদ সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চার সন্তানের সবার বড় সা’দাত সোবহান। শৈশব ও কৈশরের বেশিরভাগ সময় ইউরোপে কাটানো সা’দাত সোবহান ২০০০ সালে লন্ডনের হুরন বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন শেষ করে তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপেই যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে দারিদ্র্য দূরীকরণে বেশ কিছু সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন। এপর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ছিন্নমূলকে তিনি পুণর্বাসন করেছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন
২০০ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হোসাফ গ্রুপের মোয়াজ্জেম হোসেন। মোয়াজ্জেম হোসেন শুধু হোসাফ গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নন, সেই সাথে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডেরও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টর। তিনি হোসাফ মিটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সিটিলিংক অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মোযাজ্জেম হোসেন বাংলাদেশের প্রথম উদ্যোক্তদের একজন, যিনি তার ব্যবসা দেশ এবং বিদেশে সমানতালে ছড়িয়েছেন। তিনি বিজিএমইয়ের সাবেক সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ এনার্জি কোম্পানিজ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সালমান এফ রহমান
১৬৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বেক্সিমকোর সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একটি জুট মিল দিয়ে ১৯৬৬ সালে সালমান এফ রহমান তার ভাই সোহেল এফ রহমানের সাথে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭১ সালে সরকার ওই মিলটিকে সরকারিকরণ করলে তারা দুই ভাই বাধ্য হন অন্যদিকে ব্যবসা ঘুরিয়ে নিতে। ১৯৭২ সালে এই দুই ভাই বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে তারা সি-ফুড এবং হাড়চূর্ণ রপ্তানি করতেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস-এ। সেই সাথে তারা বিদেশি ওষুধ আমদানি করতেন। ১৯৭৬ সালে এই দুই ভাই বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে সোহেল এফ রহমান এবং সালমান এফ রহমান তাদের ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করেন এমনভাবে, একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় বেক্সিমকো গ্রুপ।
আফরোজা বেগম
ষষ্ঠ স্থানে আছেন আফরোজা বেগম। যার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি টাকা।
সাফওয়ান সোবহান
১৫৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সাফওয়ান সোবহান। সাফওয়ান সোবহান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের চার সন্তানের একজন। বর্তমানে তিনি এই গ্রুপের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে কর্মরত আছেন।
এছাড়া তিনি অনেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন।
আকিজ পরিবার
আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আকিজ উদ্দিন। শীর্ষ সম্পদশালীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছেন আকিজ পরিবারের। এ পরিবারের পাঁচ সদস্য শেখ বশিরউদ্দিন, শেখ জামিল উদ্দিন, শেখ জসিম উদ্দিন, শেখ শামীম উদ্দিন ও শেখ নাসির উদ্দিন প্রত্যেকেই ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক। তাঁরা সবাই রয়েছেন অষ্টম স্থানে।

Thursday, August 11, 2016

জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানে লাউ

লাউ এমন একটি সবজি যা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু কিশোর-তরুণরা এই সবজিটি তেমন পছন্দ করেনা। লাউ এর উপকারিতাকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই। কারণ লাউয়ে প্রচুর পানি থাকার পাশাপাশি এতে ফাইবার, ভিটামিন ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান থাকে। সাধারণ লাউ এর অসাধারণ কিছু উপকারিতার কথাই জানবো আজ।
* ক্যালরি কম
কম ক্যালরির খাবার হিসেবে লাউ আদর্শ খাবার। লাউয়ে ৯৬% পানি থাকে। উচ্চমাত্রার ডায়াটারি ফাইবার থাকে লাউয়ে। ১০০ গ্রাম লাউয়ে ১৫ ক্যালরি ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এতে ভিটামিন সি ও সামান্য বি ভিটামিন, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম ও থাকে।
* পরিপাকে সাহায্য করে
লাউয়ে ভালো পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে। তাই লাউ পরিপাকে এবং পরিপাক সম্পর্কিত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাদের পাইলসের সমস্যা আছে তাদের জন্য লাউ খাওয়া উপকারী।
* শিতলিকারক
লাউয়ে ভালো পরিমাণে পানি থাকে বলে শরীর ঠান্ডা ও শান্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই গরমের সময় লাউ খাওয়া উপকারী বিশেষ করে যারা প্রখর সূর্যতাপে কাজ করেন তাদের হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে লাউ। লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।
* ইউরিনারি সমস্যা সমাধানে
লাউ মূত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে লাউ। ১ গ্লাস লাউয়ের জুসের সাথে ১ চা চামচ লেবুর রস মিসিয়ে পান করুন। ক্ষারীয় এই মিশ্রণটি এসিডিক মিশ্রণকে তরল হতে সাহায্য করে এবং মূত্রনালীর জ্বালাপোড়া কমতে সাহায্য করে।
t

*ওজন কমতেসাহায্য করে
লাউয়ে ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে বলে লাউ ওজন কমতে সাহায্য করে। রক্তের কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে লাউ।
* অকালে চুল পাকা রোধ করে
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে, সকালে নিয়মিত তাজা লাউয়ের জুস পান করলে অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
* ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। এটি মুখের ত্বকের তেলের নিঃসরণের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে লাউ।
* ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে
তিলের তেলের সাথে লাউয়ের জুসের মিশ্রণ ইনসমনিয়ার সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। লাউ পাতা রান্না করে খেলে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে এবং ঘুমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
* পুনরুজ্জীবিত করে
ডায়রিয়া, উচ্চমাত্রার জ্বর এবং অন্য কোন স্বাস্থ্যসমস্যার কারণে যদি শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায় তাহলে ১ গ্লাস লাউয়ের জুস পান করুন। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পানির প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের অত্যধিক তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও জন্ডিস ও কিডনির সমস্যার সমাধানেও উপকারী ভূমিকা রাখে লাউ। অসাধারণ উপকারিতা সম্বলিত এই সবজিটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা সকালে খালি পেটে লাউয়ের জুস পান করার পরামর্শ দেন। আবার অনেকের মতে লাউ দিনের যেকোন সময় যেকোন উপায়ে রান্না করে খাওয়া উপকারী।

Wednesday, August 10, 2016

> ৩৪তম বিসিএস: প্রাথমিকে ৮৯৮ জনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

চৌত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
 
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা করলে এবং যাচাই বাচাইয়ের পর তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে।
 
৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন।
 
চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে। বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।
 
৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এর আগে কয়েকশ প্রার্থীকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত ৩৪তম বিসিএস থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
 
বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান তাদের আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়েছিল। এসব আবেদনকারীর মধ্য থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হল।

> বৃহস্পতিবার বিকেলে মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার


 লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১১ ‍আগস্ট) ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধের অস্ত্রোপচার করা হবে।। কাঁধের অস্ত্রোপচারে পারদর্শী অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন অ্যান্ড্রু ওয়ালেস বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় (স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা) অস্ত্রোপচার করবেন। অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।
 ওয়ালেস ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ লন্ডনের সেন্ট জন অ্যান্ড সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের কাঁধেও অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
 বিসিবি সূত্রে জানা গেছে অস্ত্রোপচারের সময় মোস্তাফিজের পাশে থাকার জন্য বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন। গত শনিবার (৬ আগস্ট) বিসিবি কার্যালয়ে দেবাশীষ চৌধুরী মোস্তাফিজের অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচারটি সাধারণ হলেও এর পুনর্বাসন জটিল।

তিনি বলেন, ‘অপারেশনের স্থায়িত্ব খুবই কম। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে আশা করি অপারেশন হয়ে যাবে। কিন্তু এই অপারেশনের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল বা কমপ্লিকেটেড দিক হচ্ছে পুনর্বাসনের সময়টা। অনেক সময় লাগে মাঠে ফিরতে। আমরা আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মোস্তাফিজ মাঠে ফিরতে পারবে।’
দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানান, ‘অস্ত্রোপচারের পর ওই দিন রাতেই হয়তো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে মোস্তাফিজকে। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হতে পারে আরও ২-৩ দিন।’
কাঁধের চোট সারাতে গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ম্যানচেস্টারের বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক লেনার্ড ফ্রাঙ্কের শরণাপন্ন হয়েছিলেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন তিনি ২২ আগস্টের আগে মোস্তাফিজের কাঁধের চিকিৎসা চালাতে পারবেন না। ফলে অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের শরনাপন্ন হন মোস্তাফিজ।
দ্রুত মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতে ওয়ালেসকেই বেছে নেয় বিসিবি। এর আগে গত শুক্রবার (২৯ জুলাই)  মোস্তাফিজের কাঁধের চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন শল্য চিকিৎসক টনি কোচার।
 সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এবং রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে খেলার জন্য মোস্তাফিজ ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আইপিএল মাতানো এই বোলার প্রথম ম্যাচে নেমেই মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। পরের দিন ওভালে সারের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে কাঁধের পুরণো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় পরের ম্যাচগুলোতে মোস্তাফিজ আর মাঠে নামতে পারেননি।

Thursday, July 28, 2016

অ্যাপল, স্যামসাংকে পেছনে ফেলে শীর্ষে অপ্পো


বর্তমানে চীনের বাজারে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের যৌথ হিসাবে যতটা বাজার দখল হয়েছে, অপ্পোর একার দখলে তার চেয়েও বেশি। গত জুন মাসের হিসাবে এ তথ্য দেখিয়েছে কাউন্টারপয়েন্ট।

২০১৪ সালে চীনের বাজারে অ্যাপল ও শিয়াওমির যে পরিমাণ দখল ছিল, তার চেয়ে ৯ ও ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাজার দখল কমেছে।

সারাবিশ্বে চীনের বাজারকেই স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার ধরা হয়। সেই বাজারেই অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়েকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে অপ্পো।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, চীনের স্মার্টফোন বাজারে বিক্রির হিসেবে ২৩ শতাংশ দখল করেছে অপ্পো। এক্ষেত্রে অপ্পো আর ৯ ও এফ১ প্লাস স্মার্টফোনই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আগস্ট ৩ তারিখে অপ্পো এফ১ এস ডিভাইসটি উন্মুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। এটি তাদের সেলফি ফোন।

এরপর ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ দখল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে হুয়াওয়ে আর ১২ শতাংশ দখল নিয়ে তৃতীয় স্থানে ভিভো। গত শনিবার কাউন্টারপয়েন্ট ওই তথ্য প্রকাশ করে।

২০১৫ সালের জুন মাসের তুলনায় এ বছরের জুন মাসে অপোর বাজার দখল বেড়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

Thursday, July 7, 2016

> অতি পরিচিত ঘোড়ার অবাক করা কিছু তথ্য

 হাজার হাজার বছর যাবত ঘোড়া মানুষের সঙ্গী হয়ে আছে। ঘোড়াকে সম্ভ্রান্ত জীব বলা হয়ে থাকে। ৪০০০-২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকেই ঘোড়া মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। যেকোন স্থানে পৌঁছে দিতে ঘোড়া মানুষের সহযোগিতা করে আসছে এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও। এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঘোড়ার কদর কমে যায়নি। তাই চলুন আজ ঘোড়ার কিছু বিস্ময়কর তথ্য জেনে নিই।
-   স্থলজ যেকোন স্তন্যপায়ীর চেয়ে ঘোড়ার চোখ বড় হয়।
-   জন্মের একঘন্টা পরই ঘোড়া দৌড়াতে পারে।
-   এক সময় মনে করা হত ঘোড়া বর্ণান্ধ। কিন্তু আসলে এটি ঠিক নয়। তারা  রক্তবর্ণ বা বেগুনী বর্ণের চেয়ে হলুদ বা সবুজ রঙ ভালো দেখে।
-   ঘোড়ার দাঁত দেখেই স্ত্রী ও পুরুষ ঘোড়া শনাক্ত করা যায়। পুরুষ ঘোড়ার ৪০টি দাঁত থাকে এবং স্ত্রী ঘোড়ার থাকে ৩৬টি।
-   মানুষের চুল ও নখ যে প্রকারের প্রোটিন দিয়ে গঠিত ঘোড়ার খুরও একই ধরণের প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
-   যুক্তরাজ্যের লর্ড জর্জ বেন্টিঙ্ক নামক এক ব্যাক্তি তার ৬টি ঘোড়াকে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম “দ্যা হর্স ট্রেইলার” বা “হর্স বক্স” উদ্ভাবন করেন।
-   ঘোড়া দাঁড়িয়ে ও শুয়ে উভয়ভাবেই ঘুমাতে পারে।
-   ঘোড়ার চোখগুলো মাথার দুইপাশে অবস্থিত বলে ঘোড়া ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত দেখতে পায়।
-   সত্যিকারের বুনো ঘোড়ার প্রজাতি প্রিজওয়ালস্কির অস্তিত্ব এখনো আছে।  মঙ্গোলিয়াতে পাওয়া যায় এদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্য ঘোড়া পাওয়া যায় যেমন- মাসটাং পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়।
-   ঘোড়া তার মেজাজ প্রকাশের জন্য নাক, কান ও চোখ ব্যবহার করে। মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে।
-   অনেকগুলো ঘোড়া একসাথে কখনোই শুয়ে থাকেনা। অন্তত একজন সজাগ থাকবে তার সঙ্গীদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য।
-   একটি পূর্ণবয়স্ক ঘোড়ার মস্তিস্কের ওজন ২২ আউন্স হয়।
-   বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ঘোড়ার সম্মানজনক অবস্থান আছে। যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কীর্তিকলাপের সাথে সম্পৃক্ত আছে ঘোড়া বিশেষ করে চীন দেশে।
-   ঘোড়া বমি করতে পারেনা। কারণ তাদের খাদ্যনালীর স্ফিংক্টার অন্য যেকোন প্রাণীর চেয়ে অধিক শক্তিশালী থাকে।
-   গৃহপালিত ঘোড়ার একটি প্রজাতিই আছে। কিন্তু ৪০০ বিভিন্ন প্রজাতির ঘোড়া আছে যারা গাড়ীটানা থেকে শুরু করে রেসিং পর্যন্ত সব কাজে লাগে।
-   ঘোড়া রাতে মানুষের চেয়ে ভালো দেখে। তবে আলো থেকে অন্ধকারে বা অন্ধকার থেকে আলোতে অ্যাডজাস্ট করতে মানুষের চেয়ে ঘোড়ার বেশি সময় লাগে।
-   ঘোড়া মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করে এবং টক বা তিক্তস্বাদ প্রত্যাখ্যান করে।
-   বন্য ঘোড়ারা সাধারণত ৩-২০টির দল করে থাকে। এই দলের নেতৃত্ব দেয় একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ঘোড়া যাকে স্ট্যালিয়ন বলে। পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ঘোড়াকে মেয়ার বলে। তরুণ পুরুষ ঘোড়াকে কোল্ট বলে এবং তরুণ স্ত্রী ঘোড়াকে  ফিলি বলে।
-   ঘোড়া একদিনে প্রায় ১০ গ্যালন লালা উৎপাদন করে।
-   ঘোড়ার খুরের নীচের দিকে একটি ত্রিকোণাকার অংশ থাকে যাকে ফ্রগ বলে। এটি ঘাতশোষক হিসেবে কাজ করে এবং রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে।
ঘোড়ার উচ্চতা মাপার একককে হ্যান্ডস বলে। এক হ্যান্ডস সমান ৪ ইঞ্চি।সবচেয়ে দীর্ঘ ঘোড়ার দৈর্ঘ্য ছিল ২১.২ হ্যান্ডস (৭ফুট, ২ইঞ্চি)।
-   ঘোড়ার হৃদপিণ্ডের ওজন ৯/১০ পাউন্ড।   
-   বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন ঘোড়ার প্রথম পূর্বপুরুষ ৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে বেঁচে ছিলো। এই প্রাগৈতিহাসিক ঘোড়াকে ইয়োহিপ্পাস বলে। এদের সামনের পায়ে ৪টি করে প্যাড যুক্ত আঙ্গুল ছিল এবং পেছনের পায়ে তিনটি প্যাড যুক্ত আঙ্গুল ছিলো।  
-   ঘোড়া দৈনিক ২৫ গ্যালন পানি পান করে। গরমের সময় আরো বেশি পান করে।  
-   ঘোড়ার খুর পুনরায় সম্পূর্ণ রূপে জন্মাতে ৯-১২ মাস সময় লাগে।
-   ঘোড়ার প্রতিটা কানে ১৬টি মাংসপেশি থাকে, যার ফলে তারা কানকে ১৮০  ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরাতে পারে।
-   যে ঘোড়ার লেজে লাল রিবন থাকে সেই ঘোড়া লাথি মারে।
-   ঘোড়া সামাজিক প্রাণী তাই একা থাকলে নিঃসঙ্গ অনুভব করে এবং সঙ্গীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্থ হয়।
-   ২০১০ সালের এক গবেষণায় জানা যায় যে, ঘোড়া বুদ্ধিমান প্রাণী। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তির ক্ষেত্রে। ঘোড়ার সাথে সদয় আচরণ করলে ঘোড়া তা আজীবন মনে রাখে এবং তাকে বন্ধু ভাবে। তারা স্থান চিহ্নিত করতে পারে।
-   অ্যারাবিয়ান ঘোড়াকেই সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়া বলা হয়।

> বিশ্বসেরা ২০টি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জেনে নিন


বিশ্বসেরা ২০টি স্মার্টফোনের বিস্তারিত জেনে নিন

স্মার্টফোনের জগতটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এখানে আজকে যে স্মার্টফোনটিকে সেনা বলে মনে হবে, তা পরদিনই সে অবস্থানে নাও থাকতে পারে। তাই আগে যে স্মার্টফোনগুলোকে সেরা হিসেবে গণ্য করা হত, তা এবার নাও হতে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সেরা কয়েকটি স্মার্টফোন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. আইফোন ৬এস
দারুণ নকশা, সহজ ব্যবহার ও টেকসই উপাদানের সমন্বয়ের কারণে জনপ্রিয় হয়েছে আইফোন ৬ এস। নতুন আইফোন সম্পর্কে অ্যাপলের টিম কুক বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন।’ এই স্মার্টফোনে রয়েছে অ্যাপলের আইওএস ৯ অপারেটিং সিস্টেমে। ফোরকে মানের ভিডিও ধারণ করার জন্য এই ফোনের পেছনে উন্নত আই-সাইট ক্যামেরা যুক্ত করেছে অ্যাপল। ফোরকে ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকে ৩৮৪০ বাই ২১৬০ যাতে পিক্সেল ঘনত্ব হয় ইঞ্চি প্রতি ৮০৬। গত বছরে বাজারে আসা আইফোন ৬ এ আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেও নতুন আইফোনের পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও সামনে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত হয়েছে। লাইভ ফটোজ নামের নতুন একটি ফিচারও যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইওএস ৯ এ ফিচার হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল সহকারী সিরির উন্নত সংস্করণ। এমনকি এটি ব্যাটারির চার্জ বাড়তি এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচাতে পারে। ১৬ জিবি, ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি এই তিনটি সংস্করণে বাজারে এসেছে নতুন আইফোন। বাজারে এর মূল্য কমপক্ষে ৬৪৯ ডলার।
২. আইফোন ৬এক্স প্লাস
আপনি যদি বিশ্বের সবচেয়ে ভালো ও বড় স্মার্টফোন চান তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। স্যামসাংয়ের গালাক্সি নোট এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও আইফোনের ডিজাইন, হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য অ্যাপের কারণে এ ফোনটিকেই সেরা মানছেন অনেকে। এ বছরের আইফোন ৬এস প্লাস আগের তুলনায় গতিশীল। এতে রয়েছে ভালো ক্যামেরা ও উন্নত ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যাপলের সর্বশেষ প্রযুক্তির প্রেসার-সেনসিং টলজি। মূল্য কমপক্ষে ৭৪৯ ডলার।
৩. আইফোন এসই
চার ইঞ্চি স্ক্রিনের আইফোন এসই এখন অনেকেরই সেরা স্মার্টফোনের তালিকায় স্থান নিয়েছে। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অ্যাপলের যাবতীয় অ্যাপ, ইকোসিস্টেম, সাপোর্ট ও সেরা স্মার্টফোনের পারফরমেন্স। এর মূল্য কম হওয়ায় অনেকেই একে দামের তুলনায় সেরা ফোন বলে মনে করছেন। এর ব্যাটারি লাইফ যেমন ভালো তেমন অন্যান্য ফিচারও মন্দ নয়। মূল্য কমপক্ষে ৩৯৯ ডলার।
৪. নেক্সাস ৬পি
গুগল নেক্সাস ৬পি হলো নেক্সাস ৫এক্স-এর সামান্য বড় ভার্সন। গুগলের পক্ষ থেকে এটি তৈরি করেছে হুয়াউয়েই। এটি নেক্সাস ৫এক্স-এর মতোই গুগলের নানা সুযোগ সুবিধা পাবে। যে কারণে স্মার্টফোনটিতে সবার আগে আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যারের নিখুঁত পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে। মূল্য কমপক্ষে ৪৯৯ ডলার।
৫. গুগল নেক্সাস ৫এক্স
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে মানসম্মত ও কিছুটা কমদামের ভার্সন খুঁজলে গুগল নেক্সাস ৫এক্স এর তুলনা নেই। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫.২ ইঞ্চি স্ক্রিন ও ১২.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। গুগল দাবি করছে বিশেষ প্রযুক্তির কারণে এ স্মার্টফোনের ছবি অন্যদের থেকে অনেক উন্নত। এতে রয়েছে সম্পূর্ণ অক্ষত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, যা এর পারফর্মেন্স উন্নত করবে। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের যে কোনো আপডেট সবার আগে এ স্মার্টফোন পাবে। মূল্য প্রায় ৩৪৯ ডলার।
৬. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এজ
স্যামসাংয়ের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন হিসেবে গ্যালাক্সি এস৭ এজকে পরিচিত করিয়েছে গুগল। এটি আগের ভার্সনের তুলনায় বহুদিক দিয়েই উন্নত। স্যামসাং জানিয়েছে সম্পূর্ণ নতুনভাবে স্মার্টফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি স্ক্রিন। মূল্য কমপক্ষে
৬৬৯ ডলার।
৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের এ মডেলটিতে রয়েছে সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরা। এ স্মার্টফোনের ক্যামেরা এমনকি আইফোন ৬এস প্লাসের চেয়েও উন্নত। এছাড়া এটি অত্যন্ত শক্তিশালী কিছু ফিচার রয়েছে। স্মার্টফোনটি পানিরোধক। এতে রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। এছাড়া আপনি স্যামসাং পে  ব্যবহার করতে পারবেন এর মাধ্যমে। মূল্য কমপক্ষে ৫৬৮ ডলার।
৮. ওয়ানপ্লাস ৩
কমদামে বড় মনিটরের স্মার্টফোন চাইলে ওয়ানপ্লাস ৩ সবচেয়ে ভালো। নতুন মডেলটিতে রয়েছে মেটাল বডি, প্রায় অক্ষত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর ও ৬ জিবি র‌্যাম। এতে রয়েছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ। মূল্য কমপক্ষে ৪০০ ডলার।
৯. এইচটিসি ১০
এইচটিসি ১০ অত্যন্ত সুন্দর মডেলের দারুণ একটি স্মার্টফোন। এর অপারেটিং সিস্টেমটিও প্রায় অক্ষত অবস্থায় এ স্মার্টফোনে দেওয়া হয়েছে। এ স্মার্টফোনটি আনলক অবস্থায় কেনা যায়। মূল্য কমপক্ষে ৭০০ ডলার।
১০. এলজি জি৫
এলজির সর্বাধুনিক পণ্য জি৫ বাজারে এসেছে। এর বডি সম্পূর্ণ ধাতব। অনেকেই একে স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সেরা বলছেন। দারুণ ছবি তোলা যায় এতে। এছাড়া এ ফোনটির বটমটি রিমোভেবল হওয়ায় সহজেই ব্যাটারি পরিবর্তন করা যায়। মূল্য কমপক্ষে ৬৫০ ডলার।
১১. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৫
স্মার্টফোনে বিনোদনের পাশাপাশি জরুরি কাজ করতে চাইলে সেরা ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৫। বড় স্ক্রিনের এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অসাধারণ সূক্ষ্ম ডিসপ্লে ও দারুণ ক্যামেরা। এছাড়া এতে রয়েছে স্টাইলাস সংযোজনের অপশন। এ বছরের গ্যালাক্সি নোটের সংস্করণটি আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় উন্নত। যেমন এতে গ্যালাক্সি এস৬-এর সঙ্গে মিল রেখে নানা সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এমনকি ডিসপ্লে বন্ধ রেখেও আপনি তার ওপর লিখতে পারবেন। স্মার্টফোনটির মূল্য কমপক্ষে ৫২০ ডলার।
১২. মটো এক্স পিওর
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মানসম্মত ভালো ফোনের একটি হলো মটোরোলা মটো এক্স পিউর। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে সুপার শার্প কিউএইচডি স্ক্রিন ও ২১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পাশাপাশি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের সম্পূর্ণ অক্ষত ভার্সন। এতে কোনো বাড়তি অ্যাপ নেই, যা এর পারফর্মেন্সকে বাড়াতে সহায়ক। মূল্য কমপক্ষে ২৯৯.৯৯ ডলার।
১৩. আইফোন সিক্স
কিছুটা পুরনো মডেলের আইফোন সিক্স এখনও বাজারের অন্যতম সেরা ফোন। অ্যাপলের ফ্যানরা এখনো অনেকে নতুন মডেলের ফোন বাদ দিয়ে এ ফোন কিনছেন দামের কারণে। মূল্য কমপক্ষে ৫৪৯ ডলার।
১৪. আইফোন সিক্স প্লাস
আইফোন সিক্স প্লাস এখনও অনেকের বিচারে বাজারে দামের তুলনায় সেরা ফোন। অ্যাপলের বড় পর্দার ফোন হলেও অন্য মডেলের তুলনায় ১০০ ডলার কম মূল্য এ মডেলটির। আর এটি অনেককে আকর্ষণ করছে। মূল্য কমপক্ষে ৬৪৯ ডলার।
১৫. মটো জি৩
মটোরোলার নতুন মডেলের মটো জি একটি অসাধারণ ও কমদামের স্মার্টফোন। কমদামের এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে মানসম্মত ক্যামেরা, পানিরোধী বডি ও বড় পর্দা। এটি অন্য স্মার্টফোনের মতো শক্তিশালী না হলেও দামের দিক দিয়ে অসাধারণ। মূল্য কমপক্ষে ১৬০ ডলার।
১৬. এইচটিসি ওয়ান এ৯
অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো কয়েকটি স্মার্টফোনের কথা বলতে গেলে এ ফোনটির কথা আসবেই। এইচটিসির পুরনো ভার্সনের তুলনায় এটি সামান্য উন্নত। এতে রয়েছে পুরনো আকর্ষণীয় অ্যালুমিনিয়াম ডিজাইন, উন্নত ক্যামেরা ও দ্রুতগতির প্রসেসর। আপনি যদি এইচটিসির অন্য স্মার্টফোন পছন্দ করেন তাহলে সম্ভবত এটিও পছন্দ করবেন। আইফোনের ডিজাইন যাদের পছন্দ কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে চান তাদের জন্যও এইচটিসি এ৯ একটি আদর্শ ফোন। মূল্য কমপক্ষে ৪০০ ডলার।
১৭. ব্ল্যাকবেরি প্রিভ
ব্ল্যাকবেরির পুরনো ব্যবহারকারীদের মধ্যে যারা অ্যান্ড্রয়েড ফ্যান তাদের জন্য এ স্মার্টফোনটিই সেরা। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত ব্ল্যাকবেরির প্রথম ফোন এটি। এ ফোনটিতে রয়েছে স্লাইড আউট কিবোর্ড। আপনি যদি ব্ল্যাকবেরির কিবোর্ড ছাড়াও গুগলের অ্যাপ ব্যবহার করতে চান তাহলে এটি হতে পারে দারুণ একটি স্মার্টফোন। মূল্য কমপক্ষে ৪১৩ ডলার।
১৮. মাইক্রোসফট লুমিয়া ৯৫০
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে লুমিয়া ৯৫০ নামের একটি উইন্ডোজ ফোন উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট। ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি মাপের এই ফোনটির ওজন ১৫০ গ্রাম। ৩ জিবি র‍্যামের ফোনটির স্টোরেজ ৩২ জিবি। কোয়ালকমের প্রসেসরযুক্ত ফোনটির পেছনে ২০ ও সামনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। মূল্য কমপক্ষে ৪৪৫ ডলার।
১৯. ব্ল্যাকবেরি ক্ল্যাসিক
স্বতন্ত্র অপারেটিং সিস্টেম ও নিরাপদ বার্তার কারণে ব্ল্যাকবেরিকে অনেকেই পছন্দ করেন। আপনি যদি ব্ল্যাকবেরির ফ্যান হন তাহলে ব্ল্যাকবেরি ক্ল্যাসিক হতে পারে আপনার প্রিয় স্মার্টফোন। এটি ব্যবহারে পুরনো ব্ল্যাকবেরির স্বাদ যেমন পাওয়া যাবে তেমন পরিষ্কার টাচস্ক্রিন ও দারুণ ফিজিক্যাল কিবোর্ডও পাওয়া যাবে। মূল্য কমপক্ষে ৩২৯ ডলার।
২০. ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট
ব্ল্যাকবেরি পাসপোর্ট অনেকের কাছেই অদ্ভুত আকারের স্মার্টফোন। কিন্তু ব্ল্যাকবেরি ফ্যানরা তাদের প্রিয় বহু বিষয় পাবেন এর মাঝে। এর ফিজিক্যাল কিবোর্ডটি যেমন দারণ তেমন ব্যবহারও সুবিধাজনক। মূল্য কমপক্ষে ৪৫০ ডলার।

Tuesday, March 22, 2016

> শব্দের চেয়ে ৬ গুণ দ্রুতগতিতে চলবে প্লেন!


শব্দের চেয়ে ছয় গুণ দ্রুতগতিতে উড্ডয়নে সক্ষম এমন একটি প্লেন আনার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছে প্লেনটির নির্মাতা আমেরিকান মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নততর প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭৬২ মাইল (১২৩৬ কিমি) বেগে উড়তে সক্ষম একটি মিলিটারি প্লেন নির্মাণ করছেন, যা শব্দের তুলনায় ছয়গুণ এবং কনকর্ডের তুলনায় তিনগুণ দ্রুততর।
এই প্লেনগুলো সাধারণ জেটের মতো বায়ু সংকোচনে ফ্যান ব্লেইডের ব্যবহারের পরিবর্তে প্লেনের সম্মুখগতির ফলে সৃষ্ট ধাক্কায় সংকুচিত বায়ুর মধ্যে জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে উড়বে। বিগত বছরগুলোতে এ প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণার ফসল হিসেবে প্রকল্পটি অচিরেই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা।
প্রতিষ্ঠানটির অ্যারেনটিক্স বিভাগের প্রধান অরল্যান্ডো কার্ভালহো বলেন, সম্প্রতি এই অগ্রগতি ‘আরও দ্রুতগতিতে’ হচ্ছে, তবে এক্ষেত্রে উন্নতির আরও অনেক বাকি আছে।
প্রকল্পটির চেয়ারম্যান মেরিলিন হিউসন বলেন, “কম খরচের মধ্যেই যে হাইপারসনিক প্লেন বানানো সম্ভব তা আমরা প্রমাণ করতে যাচ্ছি। আমরা ধারণা করছি এফ-২২ আকারের এমন একটি প্রদর্শনী প্লেন নির্মাণ ও উড্ডয়নে ১ বিলিয়নের কম ব্যয় হবে।”
কনকর্ডের ম্যাক ২ গতিসীমা অতিক্রমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিলো এর নির্মাণসামগ্রী। অন্যদিকে এসআর-৭২ এর ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা এড়াতে প্লেনটি স্পেইস শাটলের মতোই সিরামিক টাইলস দিয়ে ঢাকা থাকবে, যার ফলে প্লেনটি ম্যাক ৬ গতিসীমায় পৌঁছতে সক্ষম হবে।
এসআর-৭২ নামের এই প্লেন ২০৩০ সাল থেকে চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৩ সালের ২৩ অক্টোবর শেষবারের মতো উড়েছিল বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক যাত্রীবাহী প্লেনগুলো।